Founder of Google – Google কে আবিষ্কার করেন?

গুগলের প্রতিষ্ঠাতা কে – আজকের দিনে গুগলের নাম শোনেননি এমন লোক খুব কমই আছে। কারণ গুগল আজ আমাদের নিত্যদিনের জীবনের, একজন সঙ্গী হয়ে গেছে। আমরা যেখানেই যাই, যাই করি না কেন, আগে গুগলের পরামর্শ নিই। কিন্তু এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা হয়তো আগেকার এবং যাদের কাছে গুগল এবং এন্ড্রয়েড ফোন একদম নতুন।

তারা হয়তো গুগল কাকে বলে, গুগল সার্চ ইঞ্জিন কি, গুগলের জনক কে (google founder name), গুগল সার্চের নিয়ম, গুগোল কিভাবে কাজ করে এসব প্রশ্নগুলোর উত্তর জানেন না।

যেসব মানুষের কাছে গুগোল জিনিসটি একদমই নতুন তাদের কাছে আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে গুগলের A থেকে Z পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবে বুঝিয়ে দেব।

যেখানে আপনি গুগল এর মালিকের নাম কি থেকে শুরু করে গুগল কিভাবে আয় করে, গুগোল এর পূর্ণ নাম কি, গুগল কিভাবে সার্চ করব এই সবকিছুর উত্তর জেনে যাবেন।

সূচিপত্র

গুগোল কি?

গুগোল একটি মাল্টিন্যাশনাল টেকনোলজি পাবলিক কোম্পানি। যার সাহায্যে কোন ইউজার যেকোন ইনফরমেশন টাইপ করে সার্চ করতে পারে।

পুরো পৃথিবী জুড়ে গুগলে প্রত্যেক সেকেন্ডে 40 হাজারের বেশি keyword সার্চ হয়ে থাকে। মানে হল, গুগল তার ব্যবহারকারীকে 6 কোটিরও বেশি Queries প্রত্যেকদিন প্রদান করে।

গুগোল হলো এমন একটি ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন বা Tool যার উপরে নির্ভর করে, ব্যবহারকারী কোন বিষয়ে সার্চ করলে, সেই বিষয়ে অনেক ধরনের তথ্য গুগোল টুলের মাধ্যমে পেয়ে যায়।

গুগলের মাধ্যমে যেকোনো ইউজার যেকোনো ওয়েবসাইট দেখতে, ফটো, নিউজ, ইনফর্মেশন, ম্যাপ এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে তথ্য পেয়ে থাকে।

গুগোল ইন্টারনেটের সবথেকে বড় একটি ওয়েবসাইট। এবং এলেক্সা রেংক অনুযায়ী গুগোল নাম্বার ওয়ান স্থান অধিকার করে আছে।

আমরা যে সমস্ত সার্ভিস ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকি তার মধ্যে বেশিরভাগই গুগোল এর দ্বারা তৈরি। এবং আমরা যে এন্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করি, সেই এন্ড্রয়েড ভার্সন টিও গুগোল এর প্রোডাক্ট।

এবং আমাদের সমস্ত পপুলার অ্যাপ্লিকেশনগুলি মোবাইল ফোনে ব্যবহার করে থাকি যেমন Google Meet, Google Chrome, Google play, Gmail, Google play, Google drive, Google lens এই সবকিছু গুগোল এর দ্বারা তৈরি।

গুগল সার্চ ইঞ্জিন কি?

গুগল কাকে বলে এটা তো আপনি জেনে গেছেন। পৃথিবীর সবথেকে বেশি সার্চ; গুগলের মাধ্যমে হয়ে থাকার কারণে গুগলকে সার্চের ইঞ্জিন বলা হয়ে থাকে।

গুগল সার্চ ইঞ্জিন মানে হল, এমন একটি ইঞ্জিন যার মাধ্যমে শুধুমাত্র সার্চ করা হয়। এইজন্য ব্যবহারকারী ভালোবেসে গুগলকে, গুগোল সার্চ ইঞ্জিন বলে থাকেন।

গুগোল এর পূর্ণ নাম কি?

Global Organization Oriented Group Language of Earth.

Google কে আবিষ্কার করেন – গুগোল এর প্রতিষ্ঠাতা কে?

Founder of Google – ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির দুইজন স্টুডেন্ট যাদের নাম ল্যারি পেজ এবং সার্গেই ব্রিন। তারা ১৯৯৬ সালে দুইজন মিলে গুগলের আবিষ্কার করেন।

গুগলের ইতিহাস –

১৯৯৬ সালে লারি পেজ এবং সার্গেই ব্রিন গুগোল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রথমে তারা ক্যালিফোর্নিয়ায়  Phd পড়ার সময় “Backrub” নামক একটি Search Algorithm তৈরি করেছিলেন। পরে এটির নাম Google দেওয়া হয়।

১৯৯৬ সালে একটি রিসার্চ প্রজেক্ট করার সময় Backrub নামক এই প্রজেক্টটি পরবর্তীকালে খুব বড় সার্চ ইঞ্জিনে পরিবর্তিত হয়েছিল।

রিসার্চ করার সময় এটির নিজস্ব কোন ডোমেইন নেম না থাকার জন্য তারা এটিকে তাদের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে google.stanford.edu এবং z.stanford.edu ডোমেইন এর মাধ্যমে ব্যবহার করতেন। এবং পরবর্তীকালে ১৯৯৭ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর এটির জন্য নিজস্ব ডোমেইন নেম রেজিস্টার করা হয়।

আর সেই নামটি হল আজকের দিনে বিশ্বের নাম্বার ওয়ান সাইট google.com

প্রথমে তারা তাদের রিসার্চ প্রজেক্ট এর নাম Backrub এর বদলে Googol রাখার চিন্তাভাবনা করেন। যার মানে হলো একের পিছনে ১০০ টি ০

তারা ভেবেছিল এই সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী বৃহৎ পরিমাণে ইনফর্মেশন পেতে সক্ষম হবে, তাই তারা এইরকম একটি অদ্ভুত নামকরণ করেছিলেন।

কিন্তু পরবর্তীকালে ডোমেইন রেজিস্টার করার সময় spelling mistake এর কারণে Googol এর বদলে Google হয়ে যায়

গুগলের সিইও কে?

গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, যিনি একজন ভারতীয়। তিনি, 12 ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করে, আমেরিকা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নিয়েছিলেন।

সেখান থেকে ভৌত বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মাস্টার ডিগ্রী নিয়ে ২০১৫ সালে CEO হিসেবে গুগোল কোম্পানিতে যোগদান করেন।

এবং আজকের দিনে গুগলের CEO হিসেবে তার বার্ষিক আয় ১২০০ থেকে ১৩০০ কোটি টাকা

গুগল কোন দেশের কোম্পানি?

গুগোল হলো আমেরিকার একটি কোম্পানি। যার অফিস আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত। এবং গুগল এর মেন অফিসের এড্রেস হলো।

১৬০০ এম্ফিথিয়েটার পার্কওয়ে ইন মাউন্টেন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া, আমেরিকা।

গুগল সার্চের নিয়ম

গুগলে কোন জিনিস সার্চ করার জন্য, গুগলে সার্চ করার পদ্ধতি গুলি আপনার জেনে রাখা দরকার।গুগোল এ কোন জিনিস সার্চ করবার জন্য আপনি কোন ব্রাউজার এ গিয়ে google.com লিখে গুগলের ওয়েব সাইটটি খুলুন।

গুগোল কি, গুগল এর জনক কে এবং গুগল কিভাবে কাজ করে

এই লিঙ্ক থেকে খোলার পর আপনার সামনে এরকম একটি পেজ ওপেন হবে। যেখানে সার্চ বক্স এর মধ্যে কোন জিনিস লিখে সার্চ করলেই ওই লেখাটি সম্পর্কে হাজার ইনফর্মেশন আপনার সামনে হাজির হবে।

এবং আপনি যেকোনো একটি ইনফর্মেশন এর উপরে ক্লিক করে পুরো ইনফরমেশন টি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ইমেজ সার্চ কি?

সাধারণত টেক্সট আকারে গুগলে লিখে আমরা ইনফরমেশন নিয়ে থাকি। কিন্তু কোনো ব্যবহারকারী যদি Google image এ গিয়ে, গুগল থেকে টেক্সটের মাধ্যমে ইমেজ বা ছবি, গুগল থেকে সরাসরি পেতে চায় সেটিকে ইমেজ সার্চ বলা হয়ে থাকে।

ইমেজ সার্চ করবার জন্য প্রথমে google.com এ গিয়ে IMAGES অপশনটিতে ক্লিক করুন। তারপর সার্চ বক্সে যেই ইমেজই দেখতে চান সেটিকে লিখুন। যেই ধরনের ইমেজ দেখতে চান সেটি লিখে সার্চ করা মাত্র আপনার সামনে ওই ধরনের হাজার হাজার ইমেজ দেখা দেবে।

আপনি এবার ওই ইমেজ গুলির উপরে ক্লিক করে পুরো ছবিটি দেখতে পাবেন।

গুগল কিভাবে কাজ করে?

গুগোল প্রধানত তার নিজস্ব অ্যালগোরিদমের উপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকে। এবং গুগল তার ব্যবহারকারীকে তথ্য পরিবেশনের জন্য তিনটি ধাপে কাজ করে থাকে। সেগুলি হল

  • ওয়েব ক্রল (web crawling)
  • ইন্ডেক্সিং (indexing)
  • সার্চিং (searching)

ওয়েব ক্রল –

প্রথমে গুগল বিশ্বের সব ধরনের ওয়েব পেজগুলি নিজস্ব গুগোল বট এর সাহায্যে ক্রল করে। এবং গুগলবট বা স্পাইডার এর মাধ্যমে ওই ওয়েবপেজ গুলিতে কি ধরনের ইনফরমেশন আছে সেগুলো দেখার চেষ্টা করে।

ইন্ডেক্সিং –

তারপর ওয়েব পেজের ইনফরমেশন অনুযায়ী গুগোল তার সার্ভারে ওই সব ইনফরমেশন গুলো ইন্ডেক্স করে নেয়।

সার্চিং –

তারপর কোন ব্যবহারকারী গুগলে কোন কিছু জিনিস সার্চ করলে, গুগোল তার নিজস্ব সার্ভার থেকে, সার্চের বিষয় অনুযায়ী ইনফর্মেশন ইউজারকে দেখায়।

গুগল কিভাবে আয় করে?

যদি আপনি গুগল এর প্রোডাক্ট বা গুগলের সার্ভিস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে দেখবেন গুগোল তার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের জন্য আমাদের থেকে কোন মূল্য নেয় না। কিন্তু এখন কথা হলো গুগোল যেহেতু নাম্বার ওয়ান কোম্পানি, তাহলে এ কোম্পানিটি  চালিয়ে রাখতে পয়সা কোথা থেকে আয় করে?

এর উত্তর হলো গুগোল তার 96% ইনকাম অ্যাডভার্টাইজমেন্ট থেকে করে থাকে। গুগোল প্রধানত এডসেন্স এবং এডওয়ার্ডস থেকে আয় করে থাকে।

এডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে গুগল কিভাবে আয় করে?

এডওয়ার্ডস হলো google-এর এমন একটি সার্ভিস বা প্রোডাক্ট যার মাধ্যমে বড় বড় কোম্পানি এবং ব্যবসা, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করা হয়ে থাকে। কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এই সার্ভিসের মাধ্যমে টার্গেট অডিয়েন্স এর সামনে গুগলের সাহায্যে তার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করে থাকে। এবং গুগল সেই অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেখানোর বিনিময় সেই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি মূল্য চার্জ করে থাকে। এবং কোম্পানির কাছ থেকে সেই মূল্য নেওয়ার পর অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর হিসাবে গুগল তার ব্যবহারকারীকে সেইসব অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্রদর্শন করে। এবং ওই কোম্পানির টার্গেট অডিয়েন্স, গুগোল এর অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর দ্বারা খুব সহজেই খুজে পাওয়া যায়। এবং যার কারণে গুগোল এবং ওই কোম্পানির, দুজনেরই লাভ হয়।

অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে গুগল কিভাবে আয় করে?

এডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে ওই সব প্রতিষ্ঠান যেসব অ্যাডভার্টাইজমেন্ট গুগলকে দিতে বলে সেইসব অ্যাডভার্টাইজমেন্ট গুলি, গুগল বিভিন্ন ধরনের ওয়েব পেজ এবং ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে তার ইউজারদের দেখায়। এবং যে ব্যক্তি ওই ভিডিও বা ওয়েবসাইটের মালিক তাকে গুগোল কিছু পয়সা দিয়ে বাকি পয়সা নিজের অধীনে রেখে দেয়। যেখানে ওয়েবপেজ বা ইউটিউব চ্যানেলের মালিক ৪৫% পায় এবং গুগোল ৫৫% রেখে দেয়

  1. প্রথমে কোন কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠান গুগলের এডওয়ার্ডের দ্বারা গুগলকে জানায় কোন ধরনের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট তার দরকার।
  2. তারপর গুগল ওই অ্যাডভার্টাইজমেন্ট গুলি তার অধীনে থাকা বিভিন্ন ওয়েব পেজ এবং ইউটিউব এর মধ্যে দেখায়।
  3. যেহেতু গুগোল নিজে ওই ওয়েব পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলের মালিক নয় তাই ওয়েবপেজ বা ইউটিউব এর মালিক কে এডওয়ার্ডস এর কিছু পারসেন্ট দিয়ে বাকিটা নিজের কাছে রেখে দেয়।

গুগলের কিছু বিখ্যাত প্রোডাক্ট সম্পর্কে তথ্য

গুগলের নিজস্ব ১০০ এর বেশি প্রোডাক্ট রয়েছে। তাদের মধ্যে বিখ্যাত এবং সব থেকে বেশি ব্যবহার যোগ্য কিছু প্রোডাক্টের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হল।

১) Android OS

আমরা আজ যে মোবাইল ব্যবহার করি তার মধ্যে বেশিরভাগই অ্যান্ড্রয়েড। এবং এন্ড্রয়েড মোবাইল চালানোর জন্য যে অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহার করা হয় সেটা গুগলের তৈরি। তাই আপনি বুঝতে পারছেন গুগোল আমাদের কতটা সাহায্য করেছে।

২) Google Map

কোনো নতুন স্থান বা জায়গায় যাওয়ার সময় আমাদের লোকেশন এর দরকার পড়ে। এই জন্য আপনি গুগল ম্যাপ অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি কোথা থেকে যেতে চাইছেন এবং কোথায় যেতে চাইছেন সেটি দিলে আপনি কিভাবে যাবেন তার পুরো রাস্তা গুগল ম্যাপ দেখিয়ে দেবে।

৩) Google AdSense

গুগোল থেকে টাকা আয় করার জন্য এই সার্ভিসটি খুবই কার্যকর। যারা ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে গুগলের মাধ্যমে উপার্জন করতে চান তারা এই সার্ভিসটি ব্যবহার করে গুগল থেকে টাকা রোজগার করতে পারেন।

৪) Google Assistant

আপনার যদি কোন পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর দরকার পড়ে বা আপনি আপনার নিজের মুখের কথার সাহায্যে আপনার মোবাইলটিকে কন্ট্রোল করতে চান তাহলে এই সার্ভিসটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

৫) Google Keep

যদি আপনি কোন নোট বা ডকুমেন্ট, টেক্সটের আকারে আপনার মোবাইলে সঞ্চয় করে রাখতে চান তাহলে আপনি গুগোল কিপ অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারেন।

৬) Gmail

নতুন গুগোল অ্যাকাউন্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে, কোন ব্যক্তিকে ইমেইল করার জন্য আপনি জিমেইলের সাহায্য নিতে পারেন। যার সরল ইন্টারফেসের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অন্যকে মেইল পাঠাতে পারবেন।

৭) Google Play Music

যদি আপনি অনলাইন থেকে কোন গান শুনতে চান তাহলে এই অ্যাপ্লিকেশনটি আপনার কাজে আসবে। যেখানে আপনি পৃথিবীর যে কোন গায়কের গান মোবাইলে ডাউনলোড না করে, শুনতে পারবেন।

৮) Google Pay

অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ, বিল পেমেন্ট এবং টাকা টান্সফার করার জন্য গুগল পে অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু এটি একটি গুগোল এর প্রোডাক্ট তাই এটি অনলাইন ট্রানজাকশন এর জন্য বিশ্বাসযোগ্য অ্যাপ্লিকেশন।

৯) Google Meet

কোম্পানি বা অফিসের যে কোন মিটিং মোবাইলের সাহায্যে করবার জন্য গুগোল meet অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারেন। শুধুমাত্র বাড়িতে বসে ইন্টারনেট এবং এই অ্যাপ্লিকেশনের দ্বারা যে কোনো মিটিং করা সম্ভব করে তুলেছে গুগোল।

১০) Google Drive

কোন ইম্পর্টেন্ট ফাইল ক্লাউড স্টোরেজের মাধ্যমে আপনি যে কোন মোবাইল বা ল্যাপটপ থেকে দেখতে পারবেন। গুগল ড্রাইভে আপনি কোন ডকুমেন্ট আপলোড করে আপনি যেকোন মোবাইল থেকে অটিকে হ্যান্ডেল করতে পারেন।

১১) YouTube

ভিডিওর মাধ্যমে যদি আপনি ইনফরমেশন নিতে চান তাহলে ইউটিউব আপনার জন্য সবথেকে ভালো প্ল্যাটফর্ম।যেখানে আপনি আপনার মন পছন্দের যে কোন জিনিস ভিডিওর মাধ্যমে দেখতে পারেন। যদি আপনি ইউটিউব এ একাউন্ট বানাতে চান তাহলে অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিয়ে গুগল থেকে ইনকাম ও করতে পারবেন।

১২) Google Translate

গুগলের এই সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি যে কোন টেক্সটকে যেকোনো ভাষায় ট্রান্সলেট করতে পারবেন। যদি আপনি বাঙালি হয়ে হিন্দি বা ইংলিশ বা অন্য কোন ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্য নিতে পারেন।

১৩) Google Play Games

এই অ্যাপ্লিকেশনটির সাহায্যে কোন অনলাইন গেম এর একাউন্ট এবং তার সমস্ত ডাটা গুগলের সার্ভারে জমা করতে পারবেন। যদি গেমটি আপনার মোবাইল থেকে ডিলিট হয়ে যায় তাহলে গুগোল একাউন্ট এর সাহায্যে আবার সেই লেভেল থেকে খেলতে পারবেন যেখানে আপনি শেষ করেছিলেন।

১৪) Files by Google

মোবাইলের সমস্ত কিছু গান, ভিডিও, ছবি এবং ডকুমেন্টগুলি দেখতে এবং অন্যদের শেয়ার করার জন্য এই প্রোডাক্টটি কাজে আসে।

১৫) YouTube Kids

ইউটিউবে আপনি যেকোনো ধরনের ভিডিও দেখতে পাবেন কিন্তু YouTube kids অ্যাপ্লিকেশনটি শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্য। যেসব বাচ্চারা কার্টুন, এনিমেশন সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন সেইসব বাচ্চাদের জন্য তাদের বাবা-মা এই এপ্লিকেশনটি মোবাইলের মধ্যে রাখতে পারেন।

১৬) Google Find My Device

এই অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিলে কোন মোবাইল হারিয়ে গেলে তা খুব সহজেই খুজে পেতে পারেন। এবং হারিয়ে যাওয়া মোবাইলকে সুইচ অফ এবং রিং দিতে পারবেন।

১৭) Google Play Books

যদি আপনি মোবাইলের সাহায্যে বই পড়তে ভালোবাসেন তাহলে এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ই-বুক ডাউনলোড করে পড়তে পারেন।

১৮) Google Duo

কোন ব্যক্তিকে ভিডিও কল করার জন্য গুগল ডুয়ো অ্যাপ্লিকেশনটি আপনার কাজে আসবে। আপনি যাকে ভিডিও কল করতে চান শুধুমাত্র তার নাম্বার সেভ করে অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে থেকে ওই নাম্বারে কল করে ভিডিও কলের সুবিধা নিতে পারেন।

১৯) Google Lens

যদি আপনি কোন জিনিসের ছবি তুলে তার সম্পর্কে ইনফরমেশন নিতে চান তাহলে গুগোল লেন্স অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করুন।

২০) Google Ads

যদি আপনার কোন ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান থাকে এবং আপনি গুগোল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টের এডভেটাইজ করতে চান তাহলে এই সার্ভিসটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী। এখানে আপনি টার্গেট এবং বয়স অনুসারে আপনার প্রডাক্ট অনুযায়ী অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে পারবেন।

[sc_fs_multi_faq headline-0=”h2″ question-0=”গুগলের মিশন স্টেটমেন্ট কি?” answer-0=””বিশ্বের সমস্ত তথ্য সাবলীলভাবে সংগঠিত করা এবং সর্বজনীনভাবে অ্যাক্সেসযোগ্য এবং ব্যবহারযোগ্য করে তোলা”” image-0=”” headline-1=”h2″ question-1=”গুগোল এ কার শেয়ার কত আছে?” answer-1=”গুগলের মালিক একজন নয়। এর অংশীদার অনেক জন আছে। কিন্তু প্রধান যে তিনজন গুগলের অংশীদার তাদের নাম নিচে দেওয়া হল। লারি পেজ এর ২৭.৪% সারজি ব্রিন এর ২৬.৯% এবং এরিক শ্মিড্ট এর ৫.৫%” image-1=”” count=”2″ html=”true” css_class=””]

উপসংহার

আশাকরি উপরের তথ্যগুলো থেকে আপনি গুগল এর জনক কে, গুগোল কিভাবে কাজ করে এবং গুগল কিভাবে আয় করে এই সমস্ত কিছু জেনে গেছেন। যদি এই পোষ্টটি সম্পর্কে আপনার কোন জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।

6 thoughts on “Founder of Google – Google কে আবিষ্কার করেন?”

  1. অনেক গুরুত্বপূণ তথ্য জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

    Reply
  2. Thanks,, আমি বাংলাদেশ থেকে মোঃ নূর ইসলাম। আপনার কথা,আপনার কাজ আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে,আমি এবার নতুন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনলোজিতে পড়াশোনা করতেছি।।তথ্য গুলো দরকার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।

    Reply

Leave a Comment