মোবাইল অ্যাপস তৈরি | How to Make an App (মোবাইল অ্যাপ)

মোবাইল অ্যাপস তৈরি – আজকাল এন্ড্রয়েড মোবাইল সকলেই ব্যবহার করে থাকে। এবং মোবাইলের মধ্যে আমরা অনেক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কখনো নিজে কোন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার কথা ভেবেছেন?

যদি আপনি মোবাইল দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলে অ্যাপ তৈরি করার নিয়ম, অ্যাপ তৈরির পদ্ধতি, অ্যাপ তৈরির খরচ এবং আর্নিং অ্যাপ কিভাবে বানাতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক।

মোবাইল অ্যাপস তৈরি করতে কি কি লাগে?

মোবাইলে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার জন্য আপনার মোবাইলে শুধুমাত্র ইন্টারনেট এবং একটি জিমেইল আইডির প্রয়োজন হবে।

যার মাধ্যমে আপনি একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে জিমেইল আইডির সাহায্যে অ্যাকাউন্ট বানিয়ে, ওয়েব সাইটটি থেকে যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন বানাতে পারবেন।

মোবাইল অ্যাপস তৈরি (How to Make an App)

মোবাইল দিয়ে অ্যাপ তৈরি করবার জন্য প্রথমে আপনি এই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করুন।

https://appsgeyser.com/create/start/

এই ওয়েবসাইটটিতে যাওয়ার সাথে সাথে আপনার সামনে বিভিন্ন ধরনের অপশন দেখানো হবে।

আপনি যে ধরনের অ্যাপ্লিকেশন বানাতে চান, সেইমতো ক্যাটাগরি নির্বাচন করে আপনি অ্যাপ্লিকেশন বানাতে পারেন।

আমি এখানে একটি ওয়েবসাইটের অ্যাপ্লিকেশন বানাবো। যার মাধ্যমে আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন কিভাবে অ্যাপ্লিকেশন বানাতে হয়।

অ্যাপ তৈরি করার নিয়ম, অ্যাপ তৈরির পদ্ধতি, অ্যাপ তৈরির খরচ এবং আর্নিং অ্যাপ কিভাবে বানাতে হয়

আপনাকে দেখানোর জন্য আমি এখান থেকে ওয়েবসাইট ক্যাটাগরি টি বেছে নিলাম। যেটি কোন ওয়েবসাইটকে অ্যাপ্লিকেশনের পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে কাজে আসবে। আপনারা চাইলে যে কোন ক্যাটাগরি অনুযায়ী অ্যাপ্লিকেশন বানাতে পারেন।

আমি যেহেতু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটকে অ্যাপ্লিকেশনের পরিবর্তন করতে চাই তাই আমি ওয়েবসাইট ক্যাটাগরি টি বেছে নিলাম।

অ্যাপ তৈরি করার নিয়ম, অ্যাপ তৈরির পদ্ধতি, অ্যাপ তৈরির খরচ এবং আর্নিং অ্যাপ কিভাবে বানাতে হয়

এরপর আপনাকে, আপনি যে ওয়েব সাইটটি অ্যাপ্লিকেশনের পরিবর্তন করতে চান সেই ওয়েবসাইটের এড্রেস দিতে হবে। এইজন্য আমি এখানে website url টি দেওয়ার পর, প্রথমে Save অপশন ও পরে Next অপশনে ক্লিক করছি।

অ্যাপ তৈরি করার নিয়ম, অ্যাপ তৈরির পদ্ধতি, অ্যাপ তৈরির খরচ এবং আর্নিং অ্যাপ কিভাবে বানাতে হয়

এরপর আপনার সামনে অ্যাপ্লিকেশনটির একটা নির্দিষ্ট নাম দেবার অপশন আসবে। আমি এখানে অ্যাপ্লিকেশনটির একটি নাম দিয়ে পুনরায় Next অপশনে ক্লিক করলাম।

অ্যাপ তৈরি করার নিয়ম, অ্যাপ তৈরির পদ্ধতি, অ্যাপ তৈরির খরচ এবং আর্নিং অ্যাপ কিভাবে বানাতে হয়

এরপর অ্যাপ্লিকেশনের একটি আইকন বেছে নিয়ে, আবার Next অপশন প্রেস করতে হবে।

অ্যাপ তৈরি করার নিয়ম, অ্যাপ তৈরির পদ্ধতি, অ্যাপ তৈরির খরচ এবং আর্নিং অ্যাপ কিভাবে বানাতে হয়

সবকিছু সঠিক ভাবে দেবার পর অ্যাপ্লিকেশন Create করার অপশন চলে আসবে। আপনি এই অপশনটিতে ক্লিক করা মাত্র আপনার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা সম্পন্ন হয়ে যাবে।

এইজন্য আমি Create অপশনে ক্লিক করলাম।

অ্যাপ তৈরি করার নিয়ম, অ্যাপ তৈরির পদ্ধতি, অ্যাপ তৈরির খরচ এবং আর্নিং অ্যাপ কিভাবে বানাতে হয়

এইবার অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করবার জন্য আপনাকে একাউন্ট বানাতে হবে। এখন বানানো হয়ে গেলে আপনার সামনে ডাউনলোড অপশন চলে আসবে। আপনি অ্যাপ্লিকেশনটি এরপর ডাউনলোড করে মোবাইলে ইন্সটল করতে পারবেন।

এবং আপনি অ্যাপ্লিকেশনটি অন্যের মোবাইলের সাথে শেয়ার করে বাকি মোবাইল গুলিতেও ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারবেন।

অ্যাপ তৈরি করে আয় কিভাবে করবেন?

অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে আয় করতে চান, তাহলে উপরে দেওয়া পদ্ধতিতে অবলম্বন করে যে কোন এপ্লিকেশন বানিয়ে সেখানে, Monitization চালু করতে পারেন।

যার মাধ্যমে আপনি অ্যাপ্লিকেশটির মধ্যে, গুগলের এডভেটাইজ দেখিয়ে, আয় করতে পারবেন।

যত বেশি ইউজার আমরা অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করবে এবং আপনার এডভেটাইজ দেখবে, আপনি ততো বেশি আয় করতে পারবেন।

আর্নিং অ্যাপ তৈরি কিভাবে করতে হয়?

আর্নিং অ্যাপ তৈরি করবার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি অ্যাপ্লিকেশন বানাতে হবে। এবং তারপর অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে কোন কোম্পানির অ্যাডভার্টাইজমেন্ট লাগাতে পারেন। এবং আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি যেসকল ইউজারের দ্বারা ব্যবহার হবে, সেই সমস্ত ইউজার এর সামনে আপনার অ্যাডভার্টাইজ দেখানো হবে।

এবং ইউজার যত বেশি অ্যাডভার্টাইজ দেখবে ততো বেশি আপনি করতে পারবেন।

এছাড়া আপনি কোন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি আফিলিয়েট লিঙ্ক দিয়ে, ইউজারদের কেনার জন্য আকর্ষণ বাড়াতে পারেন। এবং সেই আফিলিয়েট লিনক এর দ্বারা আপনি ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন।

অ্যাপ তৈরির খরচ

উপরে যে পদ্ধতিটি আমি বলেছি ওইভাবে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করলে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যেকোন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি আরো প্রফেশনালভাবে অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করতে চান তাহলে আপনাকে কোন Apps Developer এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

এবং একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে খরচ পড়বে 1000 থেকে 10 লক্ষ পর্যন্ত। সবকিছু নির্ভর করবে আপনার অ্যাপ্লিকেশন টি কেমন হবে তার ওপর।

উপসংহার

আশাকরি উপরের ইনফর্মেশন থেকে অ্যাপ তৈরি করার নিয়ম, অ্যাপ তৈরির পদ্ধতি, অ্যাপ তৈরির খরচ এবং আর্নিং অ্যাপ কিভাবে বানাতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এখন আপনি উপরের পদ্ধতিতে অবলম্বন করে যে কোন অ্যাপ্লিকেশন বানাতে পারেন।

যদি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি সম্পর্কে আপনারা কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা কমেন্টের মাধ্যমে আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করার চেষ্টা করব।

আরও পড়ুন

7 thoughts on “মোবাইল অ্যাপস তৈরি | How to Make an App (মোবাইল অ্যাপ)”

  1. এম্পটি অ্যাপ বা শূন্য অ্যাপ তৈরী করে তাতে বিভিন্ন বিষয় বা ছবি যুক্ত করব কিভাবে ।

    Reply
  2. একটি অ্যাপ তৈরি করার পরে , মনিটাইজেশন করব কিভাবে, এর সেটিং টা কোথায় প্লিজ কেউ আমাকে বলেন।

    Reply
  3. আমি Fantasy, earning এই ধরনের অ্যাপস বানানো শিখতে চাই যদি কেউ আমাকে শিখাতে চায় জানাবেন

    Reply

Leave a Comment