আমি মোটা হবো কিভাবে | সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়

আমি মোটা হবো কিভাবে – শরীর মোটা হয়ে গেলে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একইভাবে, খুব পাতলা শরীরও অসুস্থ হওয়ার লক্ষণ। একটি দুর্বল শরীর সুস্থ শরীরের চেয়ে তাড়াতাড়ি অসুস্থ হতে পারে।

প্রায়শই রোগা মানুষ তাদের ওজন বাড়াতে বা মোটা হওয়ার জন্য অনেক ব্যবস্থা নেয়, কিন্তু তারা সম্পূর্ণ সফলতা পায় না। পাতলা হওয়ার কারণে মানুষ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে বা বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।

ওজন বাড়ানো বা মোটা হওয়ার জন্য আপনি এখানে উল্লিখিত ঘরোয়া প্রতিকার গুলি চেষ্টা করতে পারেন। শরীর মোটা হয়ে গেলে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একইভাবে, খুব পাতলা শরীরও অসুস্থ হওয়ার লক্ষণ।

একটি দুর্বল শরীর সুস্থ শরীরের চেয়ে তাড়াতাড়ি অসুস্থ হতে পারে। প্রায়শই রোগা মানুষ তাদের ওজন বাড়াতে বা মোটা হওয়ার জন্য অনেক ব্যবস্থা নেয়, কিন্তু তারা সম্পূর্ণ সফলতা পায় না।

পাতলা হওয়ার কারণে মানুষ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে বা বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এই জন্য ওজন বাড়ানো বা মোটা হওয়ার জন্য আপনি এখানে উল্লিখিত ঘরোয়া প্রতিকার গুলি দেখুন।

আমি মোটা হবো কিভাবে?

মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা

কলা :

স্থূলতার ওষুধ হিসেবে কলা খেতে পারেন । দিনে অন্তত তিন থেকে চারটি কলা খান। কলা পুষ্টিকর এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি দুধ বা দই দিয়ে খাওয়া যেতে পারে । এটি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে

দুধ এবং মধু:

প্রতিদিন সকালের নাস্তায় এবং রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে মধু খান। স্থূলতার ওষুধ হিসেবে দুধ ও মধু ব্যবহার করলে চমৎকার উপকার পাওয়া যায়। এতে ওজন বাড়ে এবং হজমশক্তিও ভালো হয়।

বাদাম খেজুর এবং ডুমুর:

তিন থেকে চারটি বাদাম, খেজুর ও ডুমুর দুধে মিশিয়ে সেদ্ধ করুন। ভালোভাবে ফুটানোর পর, প্রতিদিন ঘুমানোর আগে হালকা গরম থাকাকালীন সেই দুধ পান করুন। এটি স্থূলতার জন্য একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ।

মটরশুটি:

মটরশুটি মোটা হওয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সবজিতে মটরশুটি বেশি ব্যবহার করুন। পুষ্টিকর হওয়ার পাশাপাশি এটি ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে।

কিশমিশ:

10 গ্রাম কিশমিশ প্রায় চার ঘন্টা দুধে ভিজিয়ে রাখুন। রাতে ঘুমানোর আগে এই দুধ ফুটিয়ে নিন। হালকা গরম হলে দুধ খান এবং কিসমিস খান। কিসমিস শরীরকে পুষ্ট করে এবং দ্রুত ওজন বাড়ায়।

মোটা হওয়ার ডায়েট

ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার ডায়েট এমন হওয়া উচিত –

  • খাবারে কার্বোহাইড্রেট ও চর্বিযুক্ত খাবারকে অগ্রাধিকার দিন।
  • আপনার খাবারে মাখন এবং ঘি ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
  • শুকনো ফল এবং চর্বিযুক্ত দুধ খান।
  • আপনার ডায়েটকে পাঁচ ভাগে ভাগ করুন। সকালের নাস্তায় এবং দুপুরের খাবারের মাঝে মিষ্টি ফল খান। এবং সন্ধ্যায় কলা ও দুধের তৈরি শেক পান করুন।

মোটা হওয়ার টিপস

ওজন বাড়ানোর জন্য, আপনার জীবনধারাটি এমন হওয়া উচিত:-

  • সময়মত খান।
  • ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খান।
  • রাত জাগা এড়িয়ে চলুন, এবং 6-7 ঘন্টা ভালো ঘুম নিন।
  • অত্যধিক চাপপূর্ণ জীবনধারা এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত প্রাণায়াম করুন।

ওজন বাড়ানোর সেরা উপায় কি ?

ওজন বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার অবলম্বন করা উচিত। ঘরোয়া প্রতিকার এবং আয়ুর্বেদিক প্রতিকারের (ওজন বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়) মাধ্যমে শরীর পুষ্টি পায়।

ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বেড়ে যায়। প্রাকৃতিক প্রতিকার শুধু ওজন বাড়ায় না, ব্যক্তির শরীরও থাকে মজবুত। তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবেও সুস্থ থাকেন।

সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়

সাত দিনে মোটা হওয়ার জন্য আপনি ডাক্তারের পরমর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন। তবে প্রাকিতিক ভাবে মোটা হতে চাইলে মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা গুলি ফলো করুন।

ওজন বাড়াতে আমিষ খাবার খাওয়া কি ভালো?

এই মিথটি বেশিরভাগ লোকের মধ্যে প্রচলিত যে ওজন বাড়ানোর জন্য আমিষ খাওয়া অপরিহার্য, তবে তা নয়। আমিষভোজী প্রতিশোধমূলক গুণাবলীতে পরিপূর্ণ।

এটি একজন ব্যক্তির ওজন বাড়াতে পারে, তবে এটি একজন ব্যক্তিকে স্থূল এবং প্রতিশোধমূলক গুণাবলীর অধিকারী করে তোলে।

সব পুষ্টিগুণ আমিষের পরিবর্তে নিরামিষে থাকে। ওজন বাড়াতে এটি আমিষের চেয়ে কম উপকারী নয়। নিরামিষ আহার একজন মানুষকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে। শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার খেলে ওজন সহজেই বাড়ানো যায় ।

ওজন না বাড়লে কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে?

যদি কোনো ব্যক্তির ওজন হঠাৎ কমতে শুরু করে এবং ঘরোয়া প্রতিকার ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস অবলম্বন করেও ওজন না বাড়ে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এটি কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে।

উপসংহার

আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে আমি মোটা হবো কিভাবে, সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় এবং মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা – এই সকল বিষয়ে ইনফরমেশন পেয়ে গেছেন। এখনো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment