KYC মানে কি – KYC Full Form in Bengali

KYC মানে কি – আজকাল বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস নেওয়ার জন্য KYC করার দরকার পড়ে। কিন্তু অনেকেই KYC এর পূর্ণরূপ কি এবং KYC মানে কি – এই সম্পর্কে জানেন না।

এইজন্য আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা KYC এর পূর্ণরূপ (KYC Full Form in Bengali) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যার মাধ্যমে আপনি কেওয়াইসি সম্পর্কিত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তাই চলুন দেরী না করে KYC সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

KYC Full Form in Bengali

Kyc এর পূর্ণরূপ হলো Know Your Customer। বাংলায় এটির মানে হলো “আপনার গ্রাহককে জানুন“।

নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক তাদের কাস্টমারদের জানার জন্য, কাস্টমারদের থেকে KYC গ্রহণ করে। এবং কাস্টমারদের থেকে পাওয়া বিভিন্ন নথির সাহায্যে, নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঠিক পরিচয় নথিভুক্ত করা হয়।

কেওয়াইসি মানে কি?

নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান তারা গ্রাহকদের থেকে সরকারি নথি সংগ্রহ করে, তাদের সঠিক পরিচয় পাওয়াকেই কেওয়াইসি বলা হয়। যার দ্বারা নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঠিক নাম এবং এড্রেস যাচাই করে দেখা হয়। এবং সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক পরিষেবা দেওয়া যায়।

KYC চালু করার উদ্দেশ্য কি?

ভারতে ২০০২ সালে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া KYC পক্রিয়া চালু করে। এবং এটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মানি লন্ডারিং এর মত বিভিন্ন জালিয়াতি এবং অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করা। এবং যাতে কেউ জালিয়াতি করলে তার সমস্ত ইনফরমেশন KYC এর মাধ্যমে পাওয়া যায়।

KYC করার জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন

যদি আপনি KYC এর মাধ্যমে আপনার পরিচয় এবং এড্রেস ভেরিফাই করতে চান তাহলে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস গুলির মধ্যে যেকোন একটি জমা দিতে পারেন।

নাম ভেরিফাই করার জন্য

  • আধার কার্ড
  • প্যান কার্ড
  • ভোটার কার্ড
  • পাসপোর্ট

এবং এড্রেস ভেরিফাই করার জন্য এগুলি দিতে পারেন

  • বিদ্যুৎ বিল
  • রেশন কার্ড
  • পাসপোর্ট
  • আধার কার্ড

কেওয়াইসি করার প্রয়োজনীয়তা

আজকাল বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের কেওয়াইসি করার অনুমতি দিচ্ছে। আপনি অনলাইন বা অফলাইনে যেকোনো সার্ভিস পাওয়ার জন্য KYC অবশ্যই করতে হবে।

যদি আপনি KYC না করেন তাহলে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন না এবং মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করতে পারবেন না।

এছাড়াও পেটিএম এর মত অনলাইন সাইট গুলি কেওয়াইসি আবশ্যক করে দিয়েছে। KYC ছাড়া আপনি অনেক কিছু ফেসিলিটি পাবেন না।

এই জন্য নির্দিষ্ট সার্ভিস সম্পূর্ণরূপে পাওয়ার জন্য আপনাকে KYC অবশ্যই করতে হবে।

KYC কিভাবে করবেন?

KYC করবার জন্য আপনাকে উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলির মধ্যে থেকে যেকোনো একটি ডকুমেন্ট, যেই প্রতিষ্ঠানে KYC করতে চান সেইখানে নিয়ে যেতে হবে।

এবং নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস এর অরিজিনাল এবং জেরক্স কপি দুটিই সঙ্গে থাকবেন। এরপর নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক থেকে আপনাকে একটি KYC Form দেওয়া হবে।

এরপর আপনার ডকুমেন্ট অনুযায়ী আপনি সেই ফর্মটা ফিলাপ করে ব্যাংকে বা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে, ডকুমেন্টস টির জেরক্স সমেত জমা দিয়ে দিবেন।

এরপর নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক আপনার ফরম এবং ডকুমেন্টস অনুযায়ী, আপনার KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

উপসংহার

আশাকরি উপরের ইনফর্মেশন থেকে KYC এর পূর্ণরূপ কি (KYC Full Form in Bengali) সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি এখনও আপনার মনে KYC সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা অবশ্যই আপনাকে কমেন্ট এর মাধ্যমে সাহায্য করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

3 thoughts on “KYC মানে কি – KYC Full Form in Bengali”

  1. কোথায় কোথায় kyc করা হয় দয়া করে জানাবেন।

    Reply
    • আপনার পার্শ্ববর্তী ব্যাংক গুলিতে এবং যেখানে অনলাইন কাজ হয় সেখানে খোঁজ নিন।

      Reply

Leave a Comment