আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়। হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া মানে হলো শরীরে রক্ত কমে যাওয়া এবং যার ফলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের উৎপত্তি হয়।
এজন্য মানুষের শরীরের হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা কমে গেলে ডাক্তারবাবু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই রক্ত দিতে হয়। তাই চলুন দেরি না করে হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় এই সম্পর্কে জেনে নিই।
সূচিপত্র
হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়?
পুরুষদের জন্য হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার। প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের জন্য হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক ১২ থেকে ১৫.৫ গ্রাম/ডিএল।
যদি এই স্বাভাবিক পরিমাণে থেকে হিমোগ্লোবিন কমে যায় তাহলে মানুষের শরীরে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
তবে রক্ত দেওয়ার আগে ডাক্তার মতামত অবশ্যই নেবেন। নিজের ইচ্ছামত কাজ করতে গিয়ে বিপদ বাড়তে পারে।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়?
গর্ভাবস্থায়, নারীর জন্য ১১ বা তার বেশি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সাধারণত স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়।
এর থেকে কম হলে রক্ত দিতে হতে পারে।
হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত?
হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা পুরুষদের ক্ষেত্রে, প্রতি ডেসিলিটারে ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১২-১৫. ৫/১৬ গ্রাম।
হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ
শরীরে লৌহের ঘাটতি দেখা দিলে, শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। এবং এটাই শরীরের রক্ত কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। অর্থাৎ অপুষ্টির ফলে অনেক সময় শরীরে লৌহের পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যায়।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়?
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে অ্যানিমিয়াসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
মেয়েদের হিমোগ্লোবিন কত থাকা দরকার?
প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের জন্য হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক ১২ থেকে ১৫.৫ গ্রাম/ডিএল।
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে?
শরীরের রক্ত বা হিমোগ্লোবিন কমে গেলে দূধ, শিং মাছ, মধু, ডিম, ফলমূল, শাক সবজি, ডাল, খেজুর, সোয়াবিন খান।
উপসংহার
আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় – এই সম্পর্কে ইনফরমেশন পেয়ে গেছেন। যদি এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে এখনো কোনো প্রশ্ন আপনার থেকে থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।