শিক্ষা সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী – স্বামী বিবেকা নন্দের শিক্ষকের নাম ছিল রামকৃষ্ণ পরমহংস । আপনি জানেন যে স্বামী বিবেকানদ তার বক্তৃতার জন্য বেশি পরিচিত। স্বামী বিবেকানন্দ ধর্মগ্রন্থ বেদের একজন মহান পণ্ডিত ছিলেন। তিনি শুধু ভারতকে নয়, সমগ্র বিশ্বকে ধর্মগ্রন্থের জ্ঞান দিতে চেয়েছিলেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক শিক্ষা নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের ভাবনাগুলো যা যেকোনো মানুষকে সফল করতে পারে।
শিক্ষা সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী
1) উঠো, জাগো এবং লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত থামো না।”
2) আমাদের এমন শিক্ষা দরকার, যা চরিত্র গঠন করে, মানসিক বিকাশ ঘটায়, বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায় এবং মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম করে।”
3) যে অনুশীলনে সংযত হয়ে মানুষের ইচ্ছা ও আলো ফলপ্রসূ হয়, তার নাম শিক্ষা।”
4) সমস্ত জ্ঞান তা জাগতিক বা আধ্যাত্মিক, মানুষের মনে থাকে কিন্তু প্রকাশ না করে আবৃত থাকে। গবেষণার মাধ্যমে তা ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়।”
5) শিক্ষার্থীর প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষার পরিবর্তন হওয়া উচিত।”
6) জ্ঞান অর্জনের একটাই উপায় আর তা হল ‘একাগ্রতা’।”
7) একাগ্রতার শক্তি জ্ঞানের ভান্ডারের একমাত্র চাবিকাঠি”
8) জ্ঞান দান করতে হবে নির্দ্বিধায়, বিনা খরচে।”
9) গুরুর প্রতি বিশ্বাস, নম্রতা, নম্রতা এবং ভক্তি ছাড়া আমাদের মধ্যে ধর্মের চেতনা গড়ে উঠতে পারে না।”
10) অধিকাংশ মহাপুরুষকে সুখের চেয়ে দুঃখের দ্বারা এবং সম্পদের চেয়ে দারিদ্র্য দ্বারা বেশি শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।”
11) অধিকাংশ মহাপুরুষকে সুখের চেয়ে দুঃখের দ্বারা এবং সম্পদের চেয়ে দারিদ্র্য দ্বারা বেশি শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।”
12) একজন মানুষ যা ভাবে তাই হয়।”
13) আত্মবিশ্বাস মানবতার একটি শক্তিশালী অংশ।”
14) শিক্ষক, অর্থাৎ গুরুর ব্যক্তিগত জীবন ছাড়া শিক্ষা হতে পারে না।”
15) একজন শিষ্যের জন্য যা প্রয়োজন তা হল বিশুদ্ধতা, জ্ঞানের প্রতি সত্য নিষ্ঠা সহ কঠোর পরিশ্রম।”
16) মস্তিষ্ককে নানা ধরনের জ্ঞানে ভরে দেওয়া, তা থেকে কোনো কাজে না আসা এবং সারাজীবন বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া শিক্ষা নয়।
17) শিক্ষা এবং কঠোর পরিশ্রম হল সোনার চাবি যা সহজেই ভাগ্যের দরজা খুলে দেয় ~ স্বামী বিবেকানন্দ
18) গরীব ছেলে শিক্ষার জন্য না আসতে পারলে তার কাছে শিক্ষা যাওয়া উচিত।
19) জ্ঞান নিজের মধ্যেই আছে, মানুষই তা আবিষ্কার করে।
20) আপনি চেষ্টা না করলে কেউ আপনাকে শিক্ষিত করতে পারবে না
21) নারীদের এমন শিক্ষা পাওয়া উচিত যাতে তারা স্বাবলম্বী হতে পারে এবং নিজেদের সমস্যা নিজেই সমাধান করতে পারে। তাদের মধ্যে একটি আদর্শ চরিত্র গড়ে উঠতে পারে।
22) কোনো ধর্মকে বিশেষ শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা ঠিক নয়। সকল ধর্মের অপরিহার্য বিষয়বস্তুকে শিক্ষার সাথে যুক্ত করতে হবে।
উপসংহার
আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে শিক্ষা সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী গুলি আপনার ভালো লেগেছে। যদি আর্টিকেল টি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।