আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা মেশ টপোলজি সম্পর্কে জানব। যেখান থেকে আপনি এই টপোলজিটির সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
যেমন – মেশ টপোলজি কি, মেশ টপোলজি কাকে বলে এবং মেশ টপোলজির সুবিধা ও অসুবিধা।
যদি আপনিও এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
সূচিপত্র
মেশ টপোলজি কি?
এটি হলো এমন একটি টপোলজি যেখানে প্রতিটি ডিভাইস অন্য ডিভাইস গুলোর সাথে বা একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে।
প্রত্যেকটি ডিভাইসের সাথে প্রত্যেকটির নেটওয়ার্ক আদান-প্রদান করার জন্য এই ধরনের টপোলজি ব্যবহার করা হয়।
এই ধরনের টপোলজিতে কেন্দ্রীয় সার্ভার বা হাবের প্রয়োজন হয় না।
আপনি এই ছবিটি দেখুন। এখানে প্রত্যেকটি ডিভাইস প্রত্যেকটি সাথে কানেক্ট হয়ে নেটওয়ার্ক এর আদান প্রদান করছে। এই ধরনের টপোলজি কতকটা জালের মত দেখতে হওয়ার কারণে, এই টপোলজিকে জাল টোপোলজিও বলা হয়।
মেশ টপোলজি দুই ধরনের হয়ে থাকে। ১. Full Mesh (সম্পূর্ণ মেশ) এবং Partial Mesh (আংশিক মেশ)।
১. Full Mesh
Full Mesh টপোলজিতে সমস্ত ডিভাইস অন্যান্য সমস্ত ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত থাকে।
২. Partial Mesh
Partial Mesh টপোলজিতে শুধুমাত্র কয়েকটি নোড অন্য সব নোডের সাথে সংযুক্ত থাকে।
মেশ টপোলজি কাকে বলে?
যে টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলি একে অপরের সাথে জালের মত যুক্ত থাকে, সেই ধরনের নেটওয়ার্ক টোপোলজিকে মেশ টপোলজি বলে।
মেশ টপোলজির সুবিধা ও অসুবিধা
আশা করছি উপরের ইনফর্মেশন থেকে মেশ টপোলজি কাকে বলে এই সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন মেশ টপোলজির সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নিই।
মেশ টপোলজির সুবিধা
- অতিরিক্ত ডিভাইস যোগ করলে অন্য ডিভাইসের মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশনে কোন বাঁধা হয়ে দাড়ায় না
- ডেটা ট্রান্সমিশন এর গতি বেশি
- কোনও সম্পূর্ণ শাটডাউন নেই
মেশ টপোলজির অসুবিধা
- অতিরিক্ত নোড স্থাপন করার কারণে খরচ বেড়ে যায়
- নেটওয়ার্ক ইন্সটলেশন ও কনফিগারেশন জটিল
উপসংহার
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে মেশ টপোলজি সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। যদি এই টপোলজি সম্পর্কে বুঝতে আপনার কোন অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এবং নিচে দেওয়া অন্যান্য টপোলজিগুলি সম্পর্কেও ধারণা নিতে পারেন।
আরও পড়ুন