মৃত্যু কবিতা – আজকের আর্টিকেলে আমরা মৃত্যু নিয়ে কবিতা শেয়ার করব। যদি আপনারা মৃত্যু সংক্রান্ত কবিতা পছন্দ করেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়বেন।
আজকের আর্টিকেলে আমরা জীবনানন্দ দাশ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আরো অনেক লেখকের মৃত্যু নিয়ে কবিতা শেয়ার করেছি।
আপনারা একটি একটি করে সবকটি কবিতা পড়ে নিন।
সূচিপত্র
মৃত্যু নিয়ে কবিতা জীবনানন্দ (মৃত্যু কবিতা)
এখানে মৃত্যু নিয়ে প্রথম যে কবিতাটি দেওয়া হলো সেটি জীবনানন্দ দাশের লেখা। কবিতার নাম হল ‘মানুষের মৃত্যু হ’লে’। কবিতাটি এখান থেকে পড়ে নিন।
মানুষের মৃত্যু হ’লে
লেখক – জীবনানন্দ দাশ
মানুষের মৃত্যু হ’লে তবুও মানব
থেকে যায়; অতীতের থেকে উঠে আজকের মানুষের কাছে
প্রথমত চেতনার পরিমাপ নিতে আসে।
আজকের আগে যেই জীবনের ভিড় জমেছিলো
তা’রা ম’রে গেছে;
প্রতিটি মানুষ তার নিজের স্বতন্ত্র সত্তা নিয়ে
অন্ধকারে হারায়েছে;
তবু তা’রা আজকের আলোর ভিতরে
সঞ্চারিত হ’য়ে উঠে আজকের মানুষের সুরে
যথন প্রেমের কথা বলে
অথবা জ্ঞানের কথা—
অনন্ত যাত্রার কথা মনে হয় সে-সময়
দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের;
চলেছে— চলেছে—
একদিন বুদ্ধকে সে চেয়েছিলো ব’লে ভেবেছিলো।
একদিন ধূসর পাতায় যেই জ্ঞান থাকে— তাকে।
একদিন নগরীর ঘুরোনো সিঁড়ির পথ বেয়ে
বিজ্ঞানে প্রবীণ হ’য়ে— তবু— কেন অম্বাপালীকে
চেয়েছিলো প্রণয়ে নিবিড় হ’য়ে উঠে!
চেয়েছিলো—
পেয়েছিলো শ্রীমতীকে কম্প্র প্রাসাদে:
সেই সিঁড়ি ঘুরে প্রায় নীলিমার গায়ে গিয়ে লাগে;
সিঁড়ি উদ্ভাসিত ক’রে রোদ;
সিঁড়ি ধ’রে ওপরে ওঠার পথে আরেক রকম
বাতাস ও আলোকের আসা-যাওয়া স্থির ক’রে কি অসাধারণ
প্রেমের প্রয়াণ? তবু— এই শেষ অনিমেষ পথে
দেখেছে সে কোনো এক মহীয়সী আর তার শিশু;
দু-জনেই মৃত।
অথবা কেউ কি নেই!
ওইখানে কেউ নেই।
মৃত্যু আজ নারীনর্দামার ক্বাথে;
অন্তহীন শিশুফুটপাতে;
আর সেই শিশুদের জনিতার কিউক্লীবতায়।
সকল রৌদ্রের মতো ব্যাপ্ত আশা যদি
গোলকধাঁধায় ঘুরে আবার প্রথম স্থানে ফিরে আসে
শ্রীজ্ঞান কী তবে চেয়েছিলো?
সূর্য যদি কেবলি দিনের জন্ম দিয়ে যায়,
রাত্রি যদি শুধু নক্ষত্রের,
মানুষ কেবলি যদি সমাজের জন্ম দেয়,
সমাজ অস্পষ্ট বিপ্লবের,
বিপ্লব নির্মম আবেশের,
তা হ’লে শ্রীজ্ঞান কিছু চেয়েছিলো?
নগরীর সিঁড়ি প্রায় নীলিমার গায়ে লেগে আছে;
অথচ নগরী মৃত।
সে-সিঁড়ির আশ্চর্য নির্জন
দিগন্তরে এক মহীয়সী,
আর তার শিশু;
তবু কেউ নেই।
ঢের ভারতীয় কাল— পৃথিবীর আয়ু— শেষ ক’রে
জীবনের বঙ্গাব্দ পর্বের প্রান্তে ঠেকে,
পুনরুদ্যাপনের মতন আরেকবার এই
তেরোশো পঞ্চাশ সাল থেকে শুরু ক’রে ঢের দিন
আমারো হৃদয় এই সব কথা ভেবে
সৃষ্টির উৎস আর উৎসারিত মানুষকে তবু
ধন্যবাদ দিয়ে যায়।
কেননা সৃষ্টির নিহিত ছলনা ছেলে-ভুলোবার মতো তবু নয়;
মানুষও ঘুমের আগে কথা ভেবে সব সমাধান
ক’রে নিতে চায়;
কথা ভেবে হৃদয় শুকায় জেনে কাজ করে।
সময় এখনো শাদা জলের বদলে বোনভায়ের
নিয়ত বিপন্ন রক্ত রোজ
মানুষকে দিয়ে যায়;
ফসলের পরিবর্তে মানুষের শরীরে মানুষ
গোলাবাড়ি উঁচু ক’রে রেখে নিয়তির
অন্ধকারে অমানব;
তবুও গ্লানির মতো মানুষের মনের ভিতরে
এই সব জেগে থাকে ব’লে
শতকের আয়ু— আধো আয়ু— আজ ফুরিয়ে গেলেও এই শতাব্দীকে তা’রা
কঠিন নিস্পৃহভাবে আলোচন ক’রে
আশায় উজ্জ্বল রাখে; না হ’লে এ ছাড়া
কোথাও অন্য কোনো প্রীতি নেই।
মানুষের মৃত্যু হ’লে তবুও মানব
থেকে যায়; অতীতের থেকে উঠে আজকের মানুষের কাছে
আরো ভালো— আরো স্থির দিকনির্ণয়ের মতো চেতনার
পরিমাপে নিয়ন্ত্রিত কাজ
কতো দূর অগ্রসর হ’য়ে গেল জেনে নিতে আসে।
রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু নিয়ে কবিতা
এখন যে দ্বিতীয় কবিতাটি আমরা পড়ে নেব, সেটি হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কবিতা ‘মৃত্যুর পরে’। এই কবিতাটির অনেকগুলি গানও আছে। কবিতাটি এখান থেকে পড়ে নিন।
মৃত্যুর পরে
লেখক – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আজিকে হয়েছে শান্তি ,
জীবনের ভুলভ্রান্তি
সব গেছে চুকে ।
রাত্রিদিন ধুক্ধুক্
তরঙ্গিত দুঃখসুখ
থামিয়াছে বুকে ।
যত কিছু ভালোমন্দ
যত কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব
কিছু আর নাই ।
বলো শান্তি , বলো শান্তি ,
দেহ-সাথে সব ক্লান্তি
হয়ে যাক ছাই ।
গুঞ্জরি করুক তান
ধীরে ধীরে করো গান
বসিয়া শিয়রে ।
যদি কোথা থাকে লেশ
জীবনস্বপ্নের শেষ
তাও যাক মরে ।
তুলিয়া অঞ্চলখানি
মুখ- ‘ পরে দাও টানি ,
ঢেকে দাও দেহ ।
করুণ মরণ যথা
ঢাকিয়াছে সব ব্যথা
সকল সন্দেহ ।
বিশ্বের আলোক যত
দিগ্বিদিকে অবিরত
যাইতেছে বয়ে ,
শুধু ওই আঁখি- ‘ পরে
নামে তাহা স্নেহভরে
অন্ধকার হয়ে ।
জগতের তন্ত্রীরাজি
দিনে উচ্চে উঠে বাজি ,
রাত্রে চুপে চুপে
সে শব্দ তাহার ‘ পরে
চুম্বনের মতো পড়ে
নীরবতারূপে ।
মিছে আনিয়াছ আজি
বসন্তকুসুমরাজি
দিতে উপহার ।
নীরবে আকুল চোখে
ফেলিতেছ বৃথা শোকে
নয়নাশ্রুধার ।
ছিলে যারা রোষভরে
বৃথা এতদিন পরে
করিছ মার্জনা ।
অসীম নিস্তব্ধ দেশে
চিররাত্রি পেয়েছে সে
অনন্ত সান্ত্বনা ।
গিয়েছে কি আছে বসে
জাগিল কি ঘুমাল সে
কে দিবে উত্তর ।
পৃথিবীর শ্রান্তি তারে
ত্যজিল কি একেবারে
জীবনের জ্বর!
এখনি কি দুঃখসুখে
কর্মপথ-অভিমুখে
চলেছে আবার ।
অস্তিত্বের চক্রতলে
একবার বাঁধা প ‘ লে
পায় কি নিস্তার ।
বসিয়া আপন দ্বারে
ভালোমন্দ বলো তারে
যাহা ইচ্ছা তাই ।
অনন্ত জনমমাঝে
গেছে সে অনন্ত কাজে ,
সে আর সে নাই ।
আর পরিচিত মুখে
তোমাদের দুখে সুখে
আসিবে না ফিরে ।
তবে তার কথা থাক্ ,
যে গেছে সে চলে যাক
বিস্মৃতির তীরে ।
জানি না কিসের তরে
যে যাহার কাজ করে
সংসারে আসিয়া ,
ভালোমন্দ শেষ করি
যায় জীর্ণ জন্মতরী
কোথায় ভাসিয়া ।
দিয়ে যায় যত যাহা
রাখো তাহা ফেলো তাহা
যা ইচ্ছা তোমার
সে তো নহে বেচাকেনা —
ফিরিবে না , ফেরাবে না
জন্ম-উপহার ।
কেন এই আনাগোনা ,
কেন মিছে দেখাশোনা
দু-দিনের তরে ,
কেন বুকভরা আশা ,
কেন এত ভালোবাসা
অন্তরে অন্তরে ,
আয়ু যার এতটুক ,
এত দুঃখ এত সুখ
কেন তার মাঝে ,
অকস্মাৎ এ সংসারে
কে বাঁধিয়া দিল তারে
শত লক্ষ কাজে —
হেথায় যে অসম্পূর্ণ ,
সহস্র আঘাতে চূর্ণ
বিদীর্ণ বিকৃত ,
কোথাও কি একবার
সম্পূর্ণতা আছে তার
জীবিত কি মৃত ,
জীবনে যা প্রতিদিন
ছিল মিথ্যা অর্থহীন
ছিন্ন ছড়াছড়ি
মৃত্যু কি ভরিয়া সাজি
তারে গাঁথিয়াছে আজি
অর্থপূর্ণ করি —
হেথা যারে মনে হয়
শুধু বিফলতাময়
অনিত্য চঞ্চল
সেথায় কি চুপে চুপে
অপূর্ব নূতন রূপে
হয় সে সফল —
চিরকাল এই-সব
রহস্য আছে নীরব
রুদ্ধ-ওষ্ঠাধর ।
জন্মান্তের নবপ্রাতে
সে হয়তো আপনাতে
পেয়েছে উত্তর ।
সে হয়তো দেখিয়াছে
পড়ে যাহা ছিল পাছে
আজি তাহা আগে ,
ছোটো যাহা চিরদিন
ছিল অন্ধকারে লীন
বড়ো হয়ে জাগে ।
যেথায় ঘৃণার সাথে
মানুষ আপন হাতে
লেপিয়াছে কালি
নূতন নিয়মে সেথা
জ্যোতির্ময় উজ্জ্বলতা
কে দিয়াছে জ্বালি ।
কত শিক্ষা পৃথিবীর
খসে পড়ে জীর্ণচীর
জীবনের সনে ,
সংসারের লজ্জাভয়
নিমেষেতে দগ্ধ হয়
চিতাহুতাশনে ।
সকল অভ্যাস-ছাড়া
সর্ব-আবরণ-হারা
সদ্যশিশুসম
নগ্নমূর্তি মরণের
নিষ্কলঙ্ক চরণের
সম্মুখে প্রণমো ।
আপন মনের মতো
সংকীর্ণ বিচার যত
রেখে দাও আজ ।
ভুলে যাও কিছুক্ষণ
প্রত্যহের আয়োজন ,
সংসারের কাজ ।
আজি ক্ষণেকের তরে
বসি বাতায়ন- ‘ পরে
বাহিরেতে চাহো ।
অসীম আকাশ হতে
বহিয়া আসুক স্রোতে
বৃহৎ প্রবাহ ।
উঠিছে ঝিল্লির গান ,
তরুর মর্মরতান ,
নদীকলস্বর —
প্রহরের আনাগোনা
যেন রাত্রে যায় শোনা
আকাশের’পর ।
উঠিতেছে চরাচরে
অনাদি অনন্ত স্বরে
সংগীত উদার —
সে নিত্য-গানের সনে
মিশাইয়া লহো মনে
জীবন তাহার ।
ব্যাপিয়া সমস্ত বিশ্বে
দেখো তারে সর্বদৃশ্যে
বৃহৎ করিয়া ।
জীবনের ধূলি ধুয়ে
দেখো তারে দূরে থুয়ে
সম্মুখে ধরিয়া ।
পলে পলে দণ্ডে দণ্ডে
ভাগ করি খণ্ডে খণ্ডে
মাপিয়ো না তারে ।
থাক্ তব ক্ষুদ্র মাপ
ক্ষুদ্র পুণ্য ক্ষুদ্র পাপ
সংসারের পারে ।
আজ বাদে কাল যারে
ভুলে যাবে একেবারে
পরের মতন
তারে লয়ে আজি কেন
বিচার-বিরোধ হেন ,
এত আলাপন ।
যে বিশ্ব কোলের’পরে
চিরদিবসের তরে
তুলে নিল তারে
তার মুখে শব্দ নাহি ,
প্রশান্ত সে আছে চাহি
ঢাকি আপনারে ।
বৃথা তারে প্রশ্ন করি ,
বৃথা তার পায়ে ধরি ,
বৃথা মরি কেঁদে ,
খুঁজে ফিরি অশ্রুজলে —
কোন্ অঞ্চলের তলে
নিয়েছে সে বেঁধে ।
ছুটিয়া মৃত্যুর পিছে ,
ফিরে নিতে চাহি মিছে ,
সে কি আমাদের ?
পলেক বিচ্ছেদে হায়
তখনি তো বুঝা যায়
সে যে অনন্তের ।
চক্ষের আড়ালে তাই
কত ভয় সংখ্যা নাই ,
সহস্র ভাবনা ।
মুহূর্ত মিলন হলে
টেনে নিই বুকে কোলে ,
অতৃপ্ত কামনা ।
পার্শ্বে বসে ধরি মুঠি ,
শব্দমাত্রে কেঁপে উঠি ,
চাহি চারিভিতে ,
অনন্তের ধনটিরে
আপনার বুক চিরে
চাহি লুকাইতে ।
হায় রে নির্বোধ নর ,
কোথা তোর আছে ঘর ,
কোথা তোর স্থান ।
শুধু তোর ওইটুকু
অতিশয় ক্ষুদ্র বুক
ভয়ে কম্পমান ।
ঊর্ধ্বে ওই দেখ্ চেয়ে
সমস্ত আকাশ ছেয়ে
অনন্তের দেশ —
সে যখন এক ধারে
লুকায়ে রাখিবে তারে
পাবি কি উদ্দেশ ?
ওই হেরো সীমাহারা
গগনেতে গ্রহতারা
অসংখ্য জগৎ ,
ওরি মাঝে পরিভ্রান্ত
হয়তো সে একা পান্থ
খুঁজিতেছে পথ ।
ওই দূর-দূরান্তরে
অজ্ঞাত ভুবন- ‘ পরে
কভু কোনোখানে
আর কি গো দেখা হবে ,
আর কি সে কথা কবে ,
কেহ নাহি জানে ।
যা হবার তাই হোক ,
ঘুচে যাক সর্ব শোক ,
সর্ব মরীচিকা ।
নিবে যাক চিরদিন
পরিশ্রান্ত পরিক্ষীণ
মর্তজন্মশিখা ।
সব তর্ক হোক শেষ ,
সব রাগ সব দ্বেষ ,
সকল বালাই ।
বলো শান্তি , বলো শান্তি ,
দেহ-সাথে সব ক্লান্তি
পুড়ে হোক ছাই ।
জন্ম মৃত্যু নিয়ে কবিতা
এখন আমরা একটি জন্ম মৃত্যু নিয়ে কবিতা পাঠ করবো। এই কবিতাটির লেখক হলেন ফয়েজ উল্লাহ রবি এবং কবিতাটির নাম ‘জন্ম-মৃত্যু’।
জন্ম-মৃত্যু
লেখক – ফয়েজ উল্লাহ রবি
চলতে-চলতে জীবন শিখে
চলার নামই জীবন,
জীবন নামের নৌকাখানি
ঘাটে ভিড়ে যখন,
সময় বড় বেমানান তখনই আসে মরণ।
জন্ম-মৃত্যু এক মুদ্রার দু’পিঠ
বেঁচে আছি তাই,
রোজ মৃত্যুকে গলে লাগিয়ে
জীবন ফিরে পাই।
প্রিয়জনের মৃত্যু নিয়ে কবিতা
এখন আমরা বাবার মৃত্যু নিয়ে একটি কবিতা দেখে নেব। যে কবিতাটির লেখক হলেন হোসাইন মুহম্মদ কবির। এবং এই কবিতাটির নাম হল ‘বাবার মৃত্যু’।
বাবার মৃত্যু
হোসাইন মুহম্মদ কবির
এ ধরণীতে কার কাছে রেখে গেলে বাবা তোমার আদরের সাত রাজার ধন?
তোমার জন্য কেঁদে কেঁদে
দু চোখেরজল শুকিয়ে
যেতে চাইছে বেরিয়ে প্রাণ।
তুমি এমন করে দেবে ফাঁকি
বুঝিনিতো আমি,
মরণ ক্ষণে শেষ কথাটাও বললেনা বাবা তুমি।
কি অভিমান জমিয়ে বুকে
চলে গেলে না ফেরার দেশে?
ও বাবা ‘সব অভিমান ভুলে
এসবে ফিরে কী সে?
ও বাবা বাবা কি কারণে শেষ দেখাটাও দিলেনা আমায়?
একটু কী প্রাণপাখি টা রে
ধরে রাখতে পারলে না?
শেষ দেখা না হয় দেখতাম তোমায়।
মানতে পারছি না আজ বিধির বিধান,কেনও সৃষ্টি করে কেনো’ই বা কেরে নেয় প্রাণ?
ওবাবা কোথায় গেলে
তুমিহীন শূন্য এ বাড়ি,
তুমি এসে আমায় যাও নিয়ে
তোমার ঐ দেশে, লক্ষ্মী বাবা আমার আর করেনা আড়ি।দেখো তোমার খোকা এসেছে ফিরে,নেয়ো না বুকে তুলে
কেমন ঘুমান ঘুমিয়ে আছো
গেছো কী আমায় ভুলে?
ও বাবা বাবা দেখো না চোখ খুলে
ডাকছে তোমার খোকা।
তোমার ঘরের কোনে দাঁড়িয়ে দু’হাত
তুলে বিধির কাছে চাইছে ক্ষমা,
ও বিধি আমার বাবা কে
করো ক্ষমা।
বাবা তুমি নেই বলে কবিতা
বাবা নিয়ে আরেকটি কবিতা দেওয়া হল যে কবিতাটির নাম হল ‘বাবা তুমি নেই বলে’। এই কবিতাটির লেখক সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। যদি আপনারা কেউ জেনে থাকেন তাহলে কমেন্ট করে আমাদের অবশ্যই জানাবেন। আমরা এই পোস্টটিকে আপডেট করে কবিতাটির লেখক এর নাম বসিয়ে দেবো।
বাবা তুমি নেই বলে
আকাশের বুকে মেঘ জমেছে
ঘন কালো অন্ধকার
অস্তিত্বের টানাটানি
চলে গেল বসন্ত কাল।
নরকের মাঝে বেঁচে আছি
সড়কে বসবাস
বাবা চলে গেলে
অন্ধকার করেছে গ্রাস।
আওড় পড়ে আবরু গেছে চলে
মায়ের এমন কথা
যেন সব লোকই বলে।
হারাম খাচ্ছি ব্যরাম হবে
আদুরতাই নাকি মায়ের কারবার।
নিত্য দিনের খাবার
দেয় চড় ঘুশি লাথ্থি
পড়াশোনা কি করবি
তুইতো বস্তিবাসি।
আহব আমি করেছি শুরু
দিশেহারা প্রান্তর
সংকীণ`তার শিকড়গুলো
করে দিব ভঙ্গুর।
হয়েছি আমি আগুন
ছাড়খার করে দিব
ইতিহাসের অমুলক গল্প।
বাবা তুমি নেই বলে
পাল্টে যায় দৃশ্যপট
অনাদরে থেকে আমি
বিশ্বকে দেখাবো পথ।
বাবা তুমি নেই বলে
করতে হচ্ছে যুদ্ধ
পড়াশোনা করতে চাই
সেখানেও আমি অবরুদ্ধ
আমার জীবনটাই নাকি অসুদ্ধ।
বাবা তুমি নেই বলে
আমি হবে উদাহরণ
সময়ের আলোড়ন
অসাড়তাকে দুমড়ে দিব
নতুন সমীকরণ।
জন্ম কখনো হয় না বৃথা
ভেঙ্গে যাবে সব ভুল
হব উদাহরণ
নতুন সমীকরণ
সময়ের আলোড়ন।
উপসংহার
আশাকরি উপরে মৃত্যু নিয়ে কবিতা গুলো আপনার ভালো লেগে থাকবে। যদি আপনারা এরকম কবিতা পছন্দ করেন তাহলে আমাদের কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। আমরা পরবর্তীতে এরকম আরো কবিতা আমাদের ওয়েবসাইটে যুক্ত করব। এবং এই সমস্ত কবিতা গুলি আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আরও পড়ুন