বিষ খেলে কি করনীয় | বিষ খেলে কি করবেন?

বিষ খেলে কি করনীয় – অনেক মানুষই আছে যারা ভুলবশত এবং জেনে বুঝে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকে। এবং এদের মধ্যে অনেক ব্যক্তি আছে যারা বিষ প্রয়োগটিকে বেছে নিয়ে থাকে।

যদি আপনার আশেপাশে এরকম কোন ব্যক্তি এইরকম দুর্ঘটনায় পড়ে থাকে তাহলে বিষ খেলে কি করনীয় এটি আপনার জেনে রাখা উচিত। যার মাধ্যমে আপনি সহজ কিছু টিপসের মাধ্যমে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে পারেন।

যদি আপনিও এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে বিষ খেলে কি করবেন আজকের আর্টিকেলটি থেকে এটি জেনে নিন।

বিষ খেলে কি করবেন?

বিষ খাওয়ার পর যদি মানুষের জ্ঞান থাকে তাহলে তাকে বমি করানো উচিত। যদি সে নিজে বমি করতে না পারে তাহলে অন্যজন মুখে আঙুল দিয়ে তাকে বমি করান।

যদি আঙ্গুল দিয়ে তাকে বমি করানো না যায় তাহলে, লবণ মেশানো গরম পানি, ডিমের সাদা অংশ কিংবা কাচা সরষের তেল খাইয়েও বমি করানো যায়।

যদি রোগী অজ্ঞান অথবা শক-প্রাপ্ত হয়ে থাকে এবং
এসিড, ক্ষার, কেরোসিন, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি জাতীয় বিষক্রিয়া হলে তাকে বমি করাবেন না।

বিষ খেলে কি করনীয়?

বিষ খেলে সর্ব প্রথম রোগীকে বমি করানোর পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করুন। এবং রোগী বমি করার সময় যে বমিটি করছে সেটার কিছুটা পাত্রে সঞ্চয় করে রাখুন।

যার মাধ্যমে ডাক্তার খুব সহজে সেটিকে পরীক্ষা করে দেখতে পারে, রোগী কতটা পরিমাণ বিষ খেয়েছে।

রোগী যদি অজ্ঞান থাকে তবে রোগীকে উপুড় করে শুইয়ে দিতে হবে এবং মাথা একদিকে ফিরিয়ে রাখুন। এবং শুয়ানোর সময়, মাথায় কোনও বালিশ ব্যবহার করা যাবে না।

আপনি শুধুমাত্র এতটাই করতে পারেন। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করলে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী বিষ দূর করার কাজ চলতে থাকবে।

বিষ খেলে কি করতে হয়?

বিষ খেলে প্রথমে রোগীকে বমি করাতে হয়। এবং এরপর রোগীর মাথা একদিকে ফিরিয়ে, বালিশ ছাড়া উপুড় করে শুইয়ে দিতে হবে।

এরপর রোগীকে বড় কোন হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হবে। এবং ডাক্তারবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী তার চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

ইদুরের বিষ খেলে কি মানুষ মারা যায়?

ইদুরের বিষ খেলে সাধারণত মানুষের মৃত্যু হয় না, এই বিষের কারণে মানুষ মারাত্বক ভাবে আহত হয়ে পড়বে।

উপসংহার

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে বিষ খেলে কি করতে হয় এবং ইদুরের বিষ খেলে কি মানুষ মারা যায়? – এই দুটি প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। যদি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যার মাধ্যমে তারাও এই টিপসটির সাহায্যে রোগীকে মেডিসিনের আগে পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করতে পারবে।

Leave a Comment