আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা একটি খুবই সূক্ষ্ম বা ছোট টেকনোলজি সম্পর্কে জানবো। যার নাম হলো ন্যানো টেকনোলজি।
বর্তমান দিনে এই টেকনোলজি ব্যাবহার করে, বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হচ্ছে। এই টেকনোলজি প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষকে সাহায্য করে চলেছে।
আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি ন্যানো টেকনোলজি কি, ন্যানো টেকনোলজি কাকে বলে, ন্যানো টেকনোলজির জনক কে এবং ন্যানো টেকনোলজির ব্যাবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন। যদি আপনিও এই গুরুত্বপূর্ণ টেকনোলজিটি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন, তাহলে আর্টিকেলটা পড়তে পারেন।
সূচিপত্র
ন্যানো টেকনোলজি কি?
যেকোনো পদার্থকে পারমাণবিক ও আণবিক পর্যায়ে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়, সেটি হলো ন্যানো টেকনোলজি।
এটি হলো একটি গ্রিক শব্দ। ন্যানো কথার অর্থ হচ্ছে সূক্ষ্ম বা ছোট। ন্যানো টেকনোলজির মাধ্যমে অতি ক্ষুদ্র পদার্থকে বিশ্লেষণ করা যায়।
প্রযুক্তি ,ইলেকট্রনিক, খাদ্য সংরক্ষণ চিকিৎসা বিজ্ঞান, রাসায়নিক প্লান্ট, অটোমোবাইল ইত্যাদি ক্ষেত্রে ন্যানো প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে।
সাধারণত চিকিৎসা ক্ষেত্রে এবং শক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোতে Nanotechnology ব্যবহার করে, পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে।
ন্যানো প্রযুক্তির ফলে কোনো জিনিস এতটাই ক্ষুদ্র করে তৈরি করা যায় যে, এর থেকে আর ক্ষুদ্র করা সম্ভব নয়।
ন্যানোটেকনোলজির সুবিধা
- মহাকাশের নানা রকম যন্ত্রপাতি উৎপাদন করা হয়।
- রোবট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- ব্যাটারি, ফুয়েল সেল, সোলার সেল ইত্যাদির মাধ্যমে সৌরশক্তিকে অধিকতর কাজে লাগানো যায়।
- ছোট টেকসই মজবুত এবং উন্নত মানের পণ্য তৈরি করতে পারে। যা অন্য কোন প্রযুক্তি তৈরি করতে পারে না।
- খাদ্য দ্রব্য সিলভার তৈরীর কাজে ব্যবহৃত হয়।
বিভিন্ন ঔষধি কাজে ব্যবহার করে, ঔষধ উৎপাদন করা হয়। - ইত্যাদি।
ন্যানো টেকনোলজি কাকে বলে?
ন্যানো মিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানোটেকনোলজি বলে।
অর্থাৎ ন্যানো মিটার স্কেলে পরিমিত যে কেনো বিষয়ের বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে ন্যানোপ্রযুক্তি বা ন্যানোটেকনোলজি বলে।
ন্যানো টেকনোলজির জনক কে?
ন্যানো টেকনোলজির জনক হচ্ছেন পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যান।
১৯৫৯ সাল ২৯ ডিসেম্বর তারিখে এক আলোচনায় সর্বপ্রথম এই Nanotechnology সম্পর্কে ধারণা দেন।
ন্যানো টেকনোলজির ব্যাবহার?
- নতুন প্রযুক্তির তৈরি বাল্বগুলিতে ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, যার ফলে তারা শুধুমাত্র বিদ্যুতের খরচই কমবে।
- জমির সার তৈরি করা যায়, যা ফসল উৎপাদন পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে।
- এই টেকনোলজির ব্যাবহার করে, কম্পিউটার সার্কিট এবং প্রসেসরগুলি তৈরি করা হয়।
- ক্ষতিকারক ধোঁয়া রোধ করার জন্য ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।
- মহাকাশের নানা রকম যন্ত্রপাতি উৎপাদন করতে ব্যবহৃত হয়।
- ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়।
উপসংহার
আশা করি আজকের এই ইনফর্মেশন থেকে ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আর্টিকেলটা আপনার ভালো লেগে থাকে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন