খাওয়ার সময় কথা বলা যাবে কি? – জেনে নিন কেনো উচিত নয়

আপনি অনেক বয়স্কদের মুখ থেকে শুনে থাকবেন খাওয়ার সময় কখনও কথা বলা উচিত নয়। কিন্তু যখনই আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করবেন “কেন খাবার সময় কথা বলা উচিত নয়”, তারা কিন্তু অনেক সময় এর উত্তরটা দিতে পারে না।

তাই আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা “খাওয়ার সময় কথা বলা যাবে কি?” – এই সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। যেখান থেকে আপনি, খাওয়ার সময় কথা বলা উচিত কিনা এটি বুঝতে পারবেন। এবং কেন খাওয়ার সময় কথা বলা উচিত নয় এই সম্পর্কেও ধারণা পাবেন। তাই চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক “খাবার সময় কেন কথা বলা উচিত নয়“।

খাওয়ার সময় কথা বলা যাবে কি?

আমার যখন খাবার খায় তখন একটি লালার সৃষ্টি হয়। এবং এই লালাটি আমাদের খাবার হজম করতে সাহায্য করে।

কিন্তু আমরা যখন খাবার সময় কথা বলি তখন বাতাস আমাদের মুখে চলে যায়। এবং মুখ থেকে পেটে চলে যায়। বাতাস পাকস্থলীতে পৌছলে সেটি হজমের ক্ষেত্রে বাধা দেয়। এই জন্য আমাদের খাবার হজম হতে দেরি হয়।

এই জন্য অনেকে বলেন যে খাবার সময় সর্বদা মুখ বন্ধ করে খাওয়া উচিত। যাতে বাতাস আমাদের পাকস্থলীতে পৌঁছাতে না পারে।

এছাড়াও খাবার সময় কথা না বলার আরেকটি কারণ রয়েছে। সেটি হল –

আমাদের শরীরে দুটি পৃথক টিউব রয়েছে। একটির সাহায্যে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করি এবং অন্যটির সাহায্যে আমাদের মুখ দিয়ে চিবোনো খাবার পেটের ভেতরে পৌঁছায়।

আমরা যখন খাবার খাই তখন পেটের সাথে সংযুক্ত করা নরডিক হলে এবং তার মাধ্যমে খাবার আমাদের পাকস্থলী তে পৌঁছায়। কিন্তু সেই সময় যদি আমরা কথা বলা শুরু করি তাহলে একই সাথে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করার টিউব টিও খুলে যাবে।

এবং সেই মুহূর্তে যদি এক টুকরো খাবার শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করার নলটিতে পৌঁছে যায়, তাহলে আমাদের শ্বাস গ্রহণ করতে অসুবিধা হতে পারে।

এবং যদি অনেকক্ষণ ধরে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ এবং বর্জন করতে না পারি তাহলে আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এইজন্য খাবার সময় আমাদের কখনোই কথা বলা উচিত নয়।

উপসংহার :-

আশাকরি উপরের ইনফর্মেশন থেকে খাওয়ার সময় কথা বলা কেন উচিত নয় এই সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। যদি আপনারও খাওয়ার সময় কথা বলার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি আজি এই অভ্যাসটি পরিত্যাগ করুন। এর সাথে সাথে যারা আপনাকে “খাবার সময় কথা বলা উচিত কিনা” – এই কথাটা জিজ্ঞাসা করে তাদেরকে উত্তরটি জানিয়ে দিন।

আরও পড়ুন

Leave a Comment