এয়ার কুলার কি – এর সুবিধা অসুবিধা ও কিভাবে কাজ করে

গরম কালে অনেক বাড়িতেই এয়ার কুলার ব্যাবহার করা হয়। যেটির খরচ air conditioner এর থেকে অনেক কম। এইজন্য যাদের air conditioner কেনার সামর্থ্য নেই, তারা এয়ার কুলার ব্যাবহার করতে পারেন।

তবে এর জন্য আপনাকে এয়ার কুলার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

এইজন্য আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা এয়ার কুলার সম্পর্কে আলোচনা করবো। যেখান থেকে আপনি এয়ার কুলার কি, এয়ার কুলার কি কাজ করে, এয়ার কুলার এর সুবিধা অসুবিধা এবং এয়ার কুলার কিভাবে কাজ করে – এই সম্পর্কে জানতে পারবেন।

যদি আপনিও এয়ার কুলার কেনার কথা ভাবেন তাহলে এয়ার কুলার সম্পর্কে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আপনার জেনে রাখা দরকার।

এয়ার কুলার কি?

এয়ার কুলার এমন একটি কৃত্রিম ডিভাইস, যেটি জলকে বাষ্পে পরিণত করে, ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করে।

এবং এই কারণে ঘরের গরম তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়ে, ঠান্ডা বা শীতল হয়।

গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমের কারণে ঘরকে ঠাণ্ডা রাখতে এয়ার কুলার এর ব্যাবহার করা হয়।

এয়ার কুলার কি - এর সুবিধা অসুবিধা ও কিভাবে কাজ করে

এয়ার কুলারের মধ্যে একটি জলের ট্যাংক থাকে। সেখানে জল দিয়ে ভর্তি করে, air cooler চালু করলে, কূলারের পাখাটি ঘুরতে থাকবে। এবং ধীরে ধীরে ট্যাংকে থাকা জল বাষ্পে পরিণত হয়ে, ঘর শীতল করবে।

যার মাধ্যমে প্রচণ্ড গরমেও, ঘরের মধ্যে আরামদায়কভাবে থাকা যায়।

এয়ার কুলার কি কাজ করে?

এয়ার কুলার এর কাজ হলো ঘরকে ঠান্ডা রাখা। এয়ার কুলার ট্যাংকের মধ্যে রাখা জলকে বায়ু বাষ্পীভবন প্রযুক্তিতে, বাষ্পে পরিণত করাই হলো এই মেশিনটির কাজ।

এয়ার কুলার এর সুবিধা অসুবিধা

প্রকৃতির পরিবর্তে একটি মেশিন ব্যবহার করে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে, এটির সুবিধা ও অসুবিধা দুই আছে।

সুবিধা

  1. এয়ার কন্ডিশনারগুলির তুলনায় অনেক কম ব্যয়বহুল
  2. কোন রকম ইনস্টলেশন ঝামেলা নেই
  3. বাড়ির মধ্যে কম জায়গা দখল করে থাকে
  4. এয়ার কুলার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে সরানো যায়
  5. ভাড়া দিয়ে আয়ের রাস্তা খুলতে পারেন।

অসুবিধা

  1. আর্দ্র অবস্থায় কাজ করতে ব্যর্থ হয়
  2. দুর্বল ভেন্টিলেশনে কাজ করতে ব্যর্থ হয়
  3. এয়ার কন্ডিশনার এর মত শক্তিশালী নয়
  4. হাঁপানি রোগীদের জন্য উপযুক্ত নয়
  5. প্রতিদিন জল পরিবর্তন করতে হয়

এয়ার কুলার কিভাবে কাজ করে?

এয়ার কুলার সাধারণ বায়ু বাষ্পীভবন প্রযুক্তিতে কাজ করে। এই প্রযুক্তিটি জলকে বাষ্পে রূপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।

এই পদ্ধতিগুলিতে আরও অনেক জটিলতা রয়েছে, তবে সহজ নীতি হল, যখন জল বাষ্পীভূত হয়, তখন বাতাসের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় এবং এটি শীতল বাতাস হিসাবে বেরিয়ে আসে।

তাজা ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করা – এটি এয়ার কুলারের মূল কাজের নীতি। তবে, আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বায়ু শীতল করতে জলের সাথে কিছু বরফ যোগ করতে পারি। যাতে ঘর অতিরিক্ত ঠান্ডা রাখতে পারি।

এয়ার কুলার ব্যাবহারের নিয়ম

কুলিং প্যাডগুলি পরিষ্কার করুন। সময়ের সাথে সাথে, প্যাডগুলি ধুলো সংগ্রহ করে। আপনি সপ্তাহে একবার প্যাড পরিষ্কার করার জন্য একটি ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন।

এর সাথে সাথে জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা এবং তাতে কোথাও ফুটো বা ছিদ্র নেই তা নিশ্চিত করে দেখাও গুরুত্বপূর্ণ।

নিশ্চিত করুন যে আপনি সঠিক জায়গায় এয়ার কুলার ইনস্টল করেছেন, যেখানে এটি ঘরের প্রত্যেককে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করার সময় কার্যকরভাবে তাপমাত্রা কমাতে পারে।

আর্দ্রতা বাইরে ঠেলে ঘরে বায়ুচলাচল তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ। এটি করার জন্য, আপনাকে ঘরের জানালা খুলতে হবে। এগুলি যাতে খুব বেশি চওড়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ জানলা বেশি বড় হলে ঘরের তাপমাত্রা বাড়বে।

এয়ার কুলারের দাম

আপনি বাজার থেকে ৫০০০ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে ভালো এয়ার কুলার পেয়ে যাবেন। আপনি air cooler কেনার জন্য অনলাইন শপিং ও করতে পারেন। যেখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন বাজেটের এয়ার কুলার দেখতে পাবেন।

ওয়ারেন্টি সহকারে ভালো কোম্পানির যেকোনো air cooler আপনি নিতে পারেন।

উপসংহার

আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে এয়ার কুলার কি, এয়ার কুলার কি কাজ করে, এয়ার কুলার এর সুবিধা অসুবিধা এবং এয়ার কুলার কিভাবে কাজ করে – এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনি air cooler কিনতে চান তাহলে আপনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন আপনি বাজারে গিয়ে, যেকোনো কুলার পছন্দ করতে পারেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

Leave a Comment