বেশিরভাগ মানুষই জানে যে উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়। কিন্তু এর পেছনের কারণটি কি এই সম্পর্কে অনেক ব্যক্তিই জানেন না।
এইজন্য আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয় কেন এই সম্পর্কে আলোচনা করব। যেখান থেকে আপনি উটকে মরুভূমির জাহাজ বলার প্রকৃত কারণ গুলি খুঁজে পাবেন।
যদি আপনিও এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে নিন। আমি আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে উটকে মরুভূমির জাহাজ বলার কারণ সম্পর্কে আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
সূচিপত্র
উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয় কেন?
উটকে মরুভূমির জাহাজ বলার কারণ হলো – উট মরুভূমিতে ৬ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত কোন খাবার, এমনকি জল না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে
এদের নাক, কান ও চোখ এমনভাবে গঠিত যে মরূভূমির ধূলিকণায় উট খুব সহজে আক্রান্ত হয় না।
এছাড়া মরুভূমিতে চলতে চলতে হাঁপিয়ে ওঠা ব্যক্তি উটের পিঠে চড়ে ভ্রমণ করতে পারে। এবং উট বিশাল প্রাণী হওয়ার কারণে, তার পিঠে মালপত্র বোঝাই করে, মরুভূমির পথ দিয়ে হেঁটে চলে যায়।
উটের কাছ থেকে এত কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য, মরুযাত্রীদের কাছে উট খুবই উপকারী প্রাণী। আর এই কারণগুলোর জন্যই উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়।
মরুভূমি প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য
মরুভূমিতে দিনে খুব গরম ও রাতে খুব ঠান্ডা পড়ে। অর্থাৎ মরুভূমির পরিবেশ পুরো আলাদা ধরনের পরিবেশ।
মরুভূমির এ ভিন্ন পরিবেশের ফলে সেখানকার প্রাণীদের মধ্যেও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এই গুলি বৈশিষ্ট্য গুলি হল –
- মরুভূমির প্রাণীরা খুব কম জল পান করে বেঁচে থাকতে পারে।
- মরুভূমিতে অনেক প্রাণী রয়েছে, যারা পরবর্তী সময়ে জল ব্যবহারের জন্য পেটে জল জমিয়ে রাখতে পারে।
- মরুভূমির প্রাণীরা প্রয়োজনে নাকের ছিদ্র বন্ধ করে ধূলিঝড় থেকে আত্মরক্ষা করে থাকে।
- মরু এলাকায় প্রাণীরা তীব্র গরম সহ্য করতে পারে।
লম্বা পা দিয়ে এরা দ্রুত দৌড়াতে পারে। - মরুভূমির প্রাণীদের পা ও গলা লম্বা হয়, ফলে দেহ বালি থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে থাকে। ফলে বালির তাপ দেহে কম পৌঁছায়।
উটকে মরুভূমির জাহাজ বলার কারণ
মরুভূমির ভয়ানক তাপমাত্রা এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও উট সমস্ত কিছুকে জয় করে জীবনধারণ করতে পারে এবং মরুভূমির রাস্তা দিয়ে, তার সহযাত্রীদের নিয়ে এগিয়ে চলতে পারে। এইজন্য উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়।
মরুভূমির জাহাজ বলা হয় কোন প্রাণীকে?
উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়।
উটের কুজে কি থাকে?
উটের কুজের মধ্যে চর্বি থাকে। যখন খাদ্যের অভাব হয় তখন উট, তার চর্বি গুলির মাধ্যমে খাদ্যের অভাব পূরণ করতে পারে এবং পুষ্টি জোগাতে সক্ষম হয়। এইভাবে উট খাবার এবং জল ছাড়া অনেকদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
উপসংহার
আশাকরি উপরের ইনফর্মেশন থেকে উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয় কেন – এই সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। যদি এখন আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট করে আমাদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আরও পড়ুন