ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে?

কম্পিউটারকে দিয়ে যেকোনো কাজ করানোর জন্য ইনপুট এবং আউটপুট এই দুই প্রকারের ডিভাইস অবশ্যই দরকার। এই ডিভাইস গুলো ছাড়া কম্পিউটার কে কোন রকম ইনপুট দেওয়া যাবে না এবং ইনপুট ছাড়া কম্পিউটার কোন আউটপুট দিতে পারবে না। অর্থাৎ ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস ছাড়া কম্পিউটার কোন কাজই করতে পারবেনা।

আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানব।

যেমন ইনপুট আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস গুলো কি কি এবং এই দুই প্রকারের ডিভাইসের মধ্যে পার্থক্য কি। যদি আপনিও এই সকল প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর পেতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে?

কম্পিউটারের মধ্যে যে সকল ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে ইনপুট দেওয়া হয় সেই সকল ডিভাইসকে ইনটু ডিভাইস বলে।

কম্পিউটারের থেকে কোনরকম আউটপুট নেওয়ার জন্য যে সকল ডিভাইস ব্যবহার করা হয় বা কম্পিউটার যে সকল ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে আউটপুট দিয়ে থাকে সেই সকল ডিভাইসকে ডিভাইস বলে।

ইনপুট ডিভাইস

ইনপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে কম্পিউটার কে বিভিন্ন ইনপুট দেওয়া হয়। সোজা কথায় বলা যায় কম্পিউটারকে আদেশ দেয়ার জন্য বা কোন ডাটা প্রসেসিং করার জন্য ইনপুট ডিভাইস গুলি ব্যবহার করা হয়। ইনপুট ডিভাইস ছাড়া কম্পিউটারকে কোন আদেশ দেওয়া যাবেনা। আর কম্পিউটার আদেশ ছাড়া কোন কাজ করবে না।

আউটপুট ডিভাইস

কম্পিউটার গ্রহণ করার পর যে সকল ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে আউটপুট দেখিয়ে থাকে, সেই সকল ডিভাইস গুলোকে আউটপুট ডিভাইস বলে।

কম্পিউটার ইনপুট দেওয়া ডাটাকে, প্রসেসিং করে আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে সেটি ব্যবহারকারীকে দিয়ে থাকে। বা সোজা কথায় বলা যায় কম্পিউটার কোন ডাটা প্রসেসিং করার পর ব্যবহারকারীকে আউটপুট ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে রেজাল্ট দেখিয়ে থাকে।

ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস গুলো কি কি?

এখানে বিশেষ কিছু ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের নাম দেওয়া হলো। বেশিরভাগ কম্পিউটারে এই সকল ইনপুট ও আউটপুট গুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

ইনপুট ডিভাইস

জনপ্রিয় ইনপুট ডিভাইস গুলির নাম হল –

১. মাউস

কম্পিউটারকে যেকোনো ধরনের ইনপুট দেওয়ার জন্য এটি হলো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। মাউসের কার্সর এর মাধ্যমে খুব সহজে কম্পিউটারকে ইনপুট দেওয়া যায়। একটি মাউসের মধ্যে দুটি সুইচ থাকে।

এগুলো হল লেফট সুইচ এবং রাইট সুইচ। এই দুটি সুইচের মাধ্যমে লেফট এবং রাইট ক্লিক করে কম্পিউটারকে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া যায়। এবং মানুষের মধ্যে থাকা ছোট চাকতির সাহায্যে যেকোন পেজ খুব সহজে scroll করা যায়।

২. কিবোর্ড

কিবোর্ড হল কম্পিউটারকে ইনপুট দেওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। একটি কিবোর্ড এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সুইচ থাকে। এই সকল সুইচের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কমান্ড লিখে কম্পিউটার কে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকে।

কিবোর্ডের সুইচগুলিকে কম্পিউটার এর ভাষায় key বলা হয়। বিভিন্ন key এর মাধ্যমে কম্পিউটার কে বিভিন্ন ধরনের ইনপুট দেওয়া যায়।

৩. টাচপ্যাড

বিভিন্ন ল্যাপটপ কম্পিউটারের মধ্যে touchpad থাকে। এই টাচপ্যাড এর মাধ্যমে হাতের আঙুলের সাহায্যে টাচ করে, কম্পিউটার কে ইনপুট দেওয়া যায়।

আউটপুট ডিভাইস

জনপ্রিয় আউটপুট ডিভাইস গুলির নাম হল –

১. মনিটর

কম্পিউটার থেকে ব্যবহারকারীর কাছে আউটপুট পৌঁছানোর জন্য সবথেকে জনপ্রিয় যে ডিভাইসটি ব্যবহার করা হয় সেটি হলো মনিটর। কম্পিউটারকে নির্দেশ দেওয়া থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের রেজাল্ট দেখার পর্যন্ত সমস্ত কিছু মনিটরের মাধ্যমে একজন ইউজার দেখতে পায়।

২. প্রিন্টার

কম্পিউটার থেকে কোন কিছু ডকুমেন্টস হার্ড কপির মাধ্যমে হাতে পাওয়ার জন্য প্রিন্টারের ব্যবহার করা হয়। প্রিন্টার হলো একটি অন্যতম আউটপুট ডিভাইস।

ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস এর পার্থক্য

ইনপুট ডিভাইস আউটপুট ডিভাইস
কম্পিউটারকে ইন্সট্রাকশন দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় কম্পিউটার থেকে রেজাল্ট নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়
এর মাধ্যমে কম্পিউটার ডাটা গ্রহণ করে এর মাধ্যমে কম্পিউটার ডাটা দেখায়
ব্যবহারকারী দ্বারা কন্ট্রোল করা হয় কম্পিউটার দ্বারা কন্ট্রোল হয়
ইনপুট ডিভাইস এর উদাহরণ হল কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি। আউটপুট ডিভাইসের উদাহরণ হল মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি।

একই সাথে ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস হিসাবে কোনটি কাজ করে

এখন আমরা জানবো ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কোনটি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ কম্পিউটারের এমন দুটি ডিভাইস আছে যেটি, ইনপুট ও অউটপুট এই দুটি কাজ একাই করতে পারে।

এই ডিভাইসটির নাম হল মডেম

এবং অপর ডিভাইসের নাম হলো টাচস্কিন। টাচস্কিনের মাধ্যমে আমরা টাচ এর মাধ্যমে, কম্পিউটারকে ইনপুট দিতে পারি আবার টাচ স্কিনের মাধ্যমে মাধ্যমে আমরা, প্রসেসিং হওয়া ডাটাগুলিকে আউটপুট হিসেবে দেখতে পাই।

উপসংহার

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং ইনপুট আউটপুট ডিভাইস সংক্রান্ত অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। যদি এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার এখনো কিছু জানবার থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment