ওয়াইফাই | ওয়াইফাই কি | WiFi কে আবিষ্কার করেন?

ওয়াইফাই কি – ওয়াইফাই সম্পর্কে সবাই শুনেছেন এবং আমরা প্রত্যেকেই কম-বেশি ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওয়াইফাই কি, ওয়াইফাই কাকে বলে, ওয়াইফাই কিভাবে কাজ করে এবং ওয়াইফাই ব্যবহারের সুবিধা গুলি কি কি, এই সম্পর্কে অনেকেরই প্রশ্ন থাকবে।

তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা ‘WiFi কি’ এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেব। যার মাধ্যমে আপনারা বোঝাতে সম্পর্কে বিস্তারিত ইনফর্মেশন পেয়ে যাবেন। তাই চলুন দেরী না করে ওয়াইফাই সম্পর্কে এই সমস্ত প্রশ্নগুলির উত্তর জেনে নিই।

ওয়াইফাই কি?

ওয়াইফাই হল একটি নেটওয়ার্ক টেকনোলজির নাম। যার ফুল ফর্ম হলো Wireless Fidelity। হাই স্পিড ইন্টারনেট এবং নেটওয়াক সঞ্চালন করবার জন্য ওয়াইফাই এক ধরনের রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে।

ওয়াইফাই এর মাধ্যমে আপনি মোবাইল, ল্যাপটপ এবং বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে তার ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এবং ওয়াইফাই, লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক টোপোলজির অন্তর্গত। সুতরাং ওয়াইফাই কানেকশন, একটি ঘরের মধ্যে বা অল্প কিছু জায়গা জুড়ে ব্যবহার করা সম্ভব।

সুতরাং ওয়াইফাই হলো এমন একটি টেকনোলজি, যার মাধ্যমে আমরা তার ছাড়াই বিভিন্ন ডিভাইসে, নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারি।

WiFi কে আবিষ্কার করেন

১৯৯১ সালে, John O’Sullivan এবং John Deane নামক দুই ব্যক্তি একত্রে মিলে ওয়াইফাই এর আবিষ্কার করেন।

ওয়াইফাই এর পূর্ণরূপ

ওয়াইফাই এর ফুল নাম হল Wireless Fidelity। ওয়াইফাই কে বাংলায় ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক বলা হয়ে থাকে। তারবিহীনভাবে এই ধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ফলে এটির সাথে ওয়ারলেস কথাটি যুক্ত রয়েছে।

WiFi কাকে বলে

একটি নির্দিষ্ট ডিভাইস থেকে তারবিহীনভাবে, যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয় তাকে ওয়াইফাই বলে। যেখানে একটি ডিভাইস থেকে রেডিও তরঙ্গের উৎপত্তি হয় এবং অন্য ডিভাইসে সেই তরঙ্গটির সাথে কানেকশন করে ইন্টারনেট চালানো যায়।

ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের উদাহরণ

একই রাউটারে বোর্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেট প্রবেশ করানোর পর, সেই রাউটার থেকে যে তরঙ্গটি নির্গত হয়, সেই তরঙ্গের সাহায্যে বিভিন্ন ডিভাইস কানেক্ট করে যে নেটওয়ার্কটি আমরা ব্যবহার করতে পারি সেটা হল ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক।

যখন আমরা কোনো রাউটার থেকে কোন মোবাইলে বা ল্যাপটপে কানেকশন ঘটিয়ে থাকি এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তখন যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেটের ব্যবহার করতে পারি সেটি হল ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের উদাহরন।

WiFi কিভাবে কাজ করে

নেটওয়াক আদান-প্রদানের জন্য ওয়াইফাই এক ধরনের রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। ওয়াইফাই ব্যবহার করবার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের একটি ওয়াইফাই ডিভাইস এর প্রয়োজন হয়। যেগুলোকে ট্রান্সমিটার, রাউটার এবং হাব বলা হয়ে থাকে।

ওয়াইফাই ডিভাইস গুলিতে ব্রডব্যান্ড কানেকশন দিয়ে ইন্টারনেট পাঠানো হয়। যার মাধ্যমে ওয়াইফাই ডিভাইস ইনফর্মেশন রিসিভ করতে পারে।

এরপর ডিভাইসটি কিছু উপকরণ এর মাধ্যমে, ইনফর্মেশন গুলিকে রেডিও তরঙ্গে কনভার্ট করে। এবং এরপর সে রেডিও তরঙ্গ টিকে ছড়িয়ে দেওয়ার একটি এরিয়া (WiFi Zone) তৈরি করে।

এরপর ওই এরিয়ার মধ্যে থাকা বিভিন্ন ডিভাইস যেমন স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি ডিভাইসের মধ্যে থাকা in built Wireless Adapter এর মাধ্যমে ওই সিগন্যালটি গ্রহণ করে এবং ওই সিগন্যাল এর সাথে কানেকশন তৈরি করে।

এইভাবে ওয়াইফাই কাজ করে এবং বিভিন্ন ডিভাইস গুলিকে একত্রে করে তাদের মধ্যে নেটওয়ার্ক সঞ্চালন করে।

ওয়াইফাই ব্যবহারের সুবিধা

  1. ওয়াইফাই ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়ার কারণে খুব সহজেই যে কোন ডিভাইস নির্দিষ্ট ওয়াইফাই জোন এর মধ্যে রেখে কানেক্ট করা যায়।
  2. অন্যান্য নেটওয়ার্কের তুলনায় এই ধরনের নেটওয়ার্ক খুব অল্প টাকায় পাওয়া যায়।
  3. একটি ওয়াইফাই ডিভাইস এর মধ্যে অনেকগুলো ডিভাইস, একত্রে কানেকশন তৈরি করে ব্যবহার করা যায়।
  4. খুব সহজেই ইন্টারনেট একসেস করা যায়।

ওয়াইফাই ব্যবহার কোথায় করা হয়

  • আজকাল অনলাইনে পড়াশোনার জন্য একটি স্থানে অনেক ছাত্র মিলে ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকে।
  • এছাড়া বর্বরতা হোটেল কফিশপ এসব প্রতিষ্ঠানে মানুষদের মনোরঞ্জন করার জন্য এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ দিতে ওয়াইফাই ব্যবহার করা হয়।
  • বড় বড় ট্রেন প্লাটফর্ম এবং এয়ারপোর্টে ওয়াইফাই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • এখানে ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কাজ করবার জন্য ওয়াইফাই ব্যবহার হয়।

উপসংহার

আশা করি পুরো ইনফরমেশন থেকে ওয়াইফাই কি, ওয়াইফাই কাকে বলে, ওয়াইফাই কিভাবে কাজ করে এবং ওয়াইফাই ব্যবহারের সুবিধা গুলি কি কি, ওয়াইফাই এর আবিষ্কারক কে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। যদি এখনও ওয়াইফাই সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনি কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা আপনাকে কমেন্ট এর মাধ্যমে সাহায্য করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

আরও পড়ুন

Leave a Comment