Online business bangla | অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

Online business bangla – আজকের এই যুগে বেশিরভাগ জিনিস ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে এবং বেশিরভাগ ব্যবসা অনলাইনে move on করছে। বর্তমান যুগে বেশিরভাগ ব্যক্তি ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকার কারণে অনলাইন মারফত অনেক বড় বড় ব্যবসা করা হচ্ছে।

যদি আপনিও অনলাইন ব্যবসা করতে চান এবং কোন আইডিয়া না থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া পেয়ে যাবেন। যেগুলোর মধ্যে থেকে যেখানে একটি বেছে নিয়ে আপনি অনলাইন বিজনেস আরম্ভ করতে পারেন। তাই চলুন দেরি না করে অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

অনলাইন বিজনেস কি?

Online business bangla – যে সকল ব্যবসা অনলাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে করা হয় সেই সকল ব্যবসাকে অনলাইন বিজনেস বলে।

অনলাইন বিজনেসে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ইন্টারনেট ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এবং প্রোডাক্ট এর এডভার্টাইজমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ অনলাইন এর মাধ্যমে করা হয়।

অনলাইন ব্যবসা মূলত ইন্টারনেটের মাধ্যমেই হ্যান্ডেল করা হয়ে থাকে।

কিছু অনলাইন বিজনেসের উদাহরণ হল ব্লগিং, ইউটিউবার হওয়া, ডোমেন এবং হোস্টিং Reselling করা ইত্যাদি।

Online business bangla (অনলাইন বিজনেস আইডিয়া)

যদি আপনিও অনলাইন মারফত বিজনেস করতে চান তাহলে আজকে এখানে আপনি কিছু অনলাইন বিজনেস আইডিয়া পেয়ে যাবেন। যেগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি বেছে নিয়ে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ব্লগিং করা

বর্তমানে একজন প্রফেশনাল ব্লগার, ব্লগিংটিকে বিজনেস হিসেবে নেয়। ব্লগিং মানে হল এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে নিত্যদিন নতুন নতুন কনটেন্ট পাবলিশ করা হয়।

এবং সেই সকল কনটেন্ট এর মাধ্যমে গুগল থেকে এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আসা, বিভিন্ন টার্গেট অডিয়েন্স এর মধ্যে সেই সকল কনটেন্ট গুলির মাধ্যমে ইনফরমেশন দেওয়া।

এবং একটি ব্লগের নির্দিষ্ট কনটেন্ট এর ওপর ইনফরমেশন দেওয়ার সাথে সাথে সেই ইনফরমেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর সম্পর্কে ইনফরমেশন দেওয়া হয়ে থাকে।

এবং কোন অডিয়েন্স বা কাস্টমারের যখন নির্দিষ্ট প্রোডাক্টটি পছন্দ হয় তখন সে ক্রেতায় পরিণত হয়।

আপনিও বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস সংক্রান্ত কনটেন্ট লিখে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন। অথবা বিভিন্ন ইনফরমেশন এর মাধ্যমে কোন কোম্পানির এডভারটাইজমেন্ট দেখিয়ে, ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারেন।

ইউটিউবার হওয়া

ইউটিউব হলো একটি ভিডিও প্ল্যাটফর্ম যেটি বর্তমানে বেশিরভাগ ইউটিউবার, বিজনেস হিসাবে গ্রহণ করেছে।

একজন ইউটিউবার নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির উপর ভিডিও বানিয়ে সেই সকল ভিডিওর ওপর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সারশিপ এবং বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস সেল করে আয় করে থাকে।

যদি আপনিও ভিডিও বানাতে দক্ষ হন তাহলে ইউটিউব প্লাটফর্মটিকে আপনি অনলাইন বিজনেস প্লাটফর্ম রূপে দেখতে পারেন।

নিজের ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা

যদি আপনার কোন নিজস্ব প্রোডাক্ট থাকে তাহলে আপনি নিজে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।

এবং সেখানে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট গুলি লিস্টিং করে, টার্গেট অডিয়েন্সকে লক্ষ্য করে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।

যদি আপনি এই ব্যবসাটি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে আপনি একটি ভাল পরিমাণ অর্থ অনলাইন বিজনেস থেকে আয় করতে পারবেন।

ডোমেন এবং হোস্টিং reseling করা

অনেক ব্যক্তি অনলাইন এর মাধ্যমে ডোমেন এবং হোস্টিং রিসেলিং করে প্রচুর পরিমাণ অর্থ আয় করে থাকে।

যখন ডোমেইন এবং হোস্টিং এর দাম কমে যায় বা যখন অফার থেকে, তখন তারা অত্যধিক পরিমাণে ডোমেন এবং হোস্টিং কিনে নেয়। এবং পরবর্তীকালে সেগুলির দাম বাড়লে নির্দিষ্ট ব্যক্তি সেগুলি বিক্রয় করতে আরম্ভ করে। এইভাবে একজন reseller ভালো পরিমাণ মুনাফা আয় করে।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস হলো এক ধরনের অনলাইন বাজার। যেখানে আপনি সব ধরনের জিনিস পেয়ে যাবেন। এবং বিভিন্ন ফেসবুক ইউজার এই জায়গায় ভিজিট করে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস কিনে থাকে।

যদি আপনার কাছেও কোন ফিজিক্যাল বা ভার্চুয়াল প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস থাকে তাহলে আপনিও ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে সেগুলিকে লিস্টিং করে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে আপনি জামা কাপড় থেকে শুরু করে জমি ও জায়গার প্রপার্টি পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেন।

অনলাইন কোর্স বিক্রি করা

বর্তমানে যে কোন দক্ষ ব্যক্তি অনলাইন মারফত বিভিন্ন ক্যাটাগরির কোর্স বিক্রি করে থাকে। যদি আপনারও এমন কিছু দক্ষতা থাকে যেগুলি অন্য কারোর নেই, তাহলে সেই জিনিসটিকে একটি কোর্স বানিয়ে নির্দিষ্ট মূল্যে আপনি বিক্রি করতে পারেন।

অনলাইন কোর্স বিক্রি করার জন্য প্লাটফর্ম হিসেবে আপনি ব্লগ, ইউটিউব এবং ফেসবুকের মত জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম কে বেছে নিতে পারেন। যেখান থেকে আপনি আপনার কোর্সের জন্য টার্গেট অডিয়েন্স পেয়ে যাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং

যদি আপনার কোন বিষয়ে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করে ভালো পরিমাণ অর্থ অনলাইন মারফত আয় করতে পারেন।

ইন্টারনেটের বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখানে আপনি একাউন্ট বানিয়ে আপনার দক্ষতা এবং চার্জ এন্ট্রি করতে পারেন। এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার পর ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারেন।

Online business কিভাবে শুরু করবেন?

অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করা হয়। আপনি কোন বিষয়ে বেশি দক্ষ বা কোন জিনিসটি আপনি খুব সহজে অনলাইন মারফত কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন সেটি প্রথমে নির্ণয় করুন।

এরপর নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম নির্বাচন করে সেই প্ল্যাটফর্মের উপর কাজ চালিয়ে যান।

আর যদি আপনি কোন সার্ভিস প্রদান করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং বা ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করে তার ওপর কাজ চালিয়ে যান।

অনলাইন ব্যাবসা শুরু করতে কত টাকা লাগে?

বিভিন্ন প্রকার অনলাইন ব্যবসা বিভিন্ন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট লেগে থাকে। যদি আপনি ব্লগিং করতে চান তাহলে ডোমেন এবং হোস্টিংয়ের খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। যেখানে আপনার খরচ পড়তে পারে বছরে ১০০০ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে।

যদি আপনি ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে, ইউটিউব ভিডিও বানানোর জন্য ক্যামেরা এবং বিভিন্ন অ্যাক্সেসরি কেনার প্রয়োজন হবে। যেখানে আপনাকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট করতে হতে পারে। তবে আপনি মোবাইলের মাধ্যমেও ইউটিউব ভিডিও বানাতে পারেন।

যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করেন তাহলে আপনাকে কোন টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না।

যদি আপনি ডোমেন এবং হোস্টিং reselling এর ব্যাবসা শুরু করেন, তাহলে ডোমেন এবং হোস্টিং কিনে রাখার জন্য আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। এই ইনভেস্টমেন্ট নির্ভর করবে আপনি কতগুলি ডোমেন এবং হোস্টিং কিনে রাখতে চাইছেন, তার ওপর।

এইভাবে বিভিন্ন ব্যাবসার জন্য, বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে।

উপসংহার

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন বিজনেস আইডিয়া (Online business bangla) পেয়ে গেছেন। এখানে যে সকল বিজনেস আইডিয়া গুলি শেয়ার করা হয়েছে সেগুলি সবই জনপ্রিয় বিজনেস আইডিয়ার মধ্যে পড়ে। এগুলি ছাড়াও অনেক ধরনের ব্যবসা আছে যেগুলো অনলাইন মারফত করা হয়ে থাকে। তবে যদি আপনি একজন বিগিনার হন তাহলে, উপরে দেওয়া ব্যবসা গুলির মধ্যে থেকে যে কোন একটি বেছে নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন।

আরও পড়ুন

Leave a Comment