বড়দিন কী এবং বড়দিন কেন পালন করা হয়?

বড়দিন হলো খ্রিস্টানদের একটি বিশেষ দিন। তবে এখন বেশিরভাগ হিন্দুরাও এই দিনটি উপভোগ করে থাকে। কিন্তু বড়দিন সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন আছে যেগুলি অনেকেরই অজানা।

এইজন্য আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা বড়দিন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে নেব। যেমন – বড়দিন কী, বড়দিন কেন পালন করা হয়, বড়দিন অনুচ্ছেদ রচনা, ২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিন কেন এইসব।

যদি আপনিও বড়দিন সম্পর্কিত এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটা পড়তে পারেন। আশা করছি আর্টিকেলটা আপনাদের ভালো লাগবে।

বড়দিন কী?

বড়দিন হলো খ্রিস্টানদের একটি বিশেষ উৎসব। এটি যীশু খ্রিস্টের জন্মের একটি উদযাপন। ‘যিশুকে‘ খ্রিস্টধর্মে ঈশ্বরের পুত্র বলা হয়।

এই জন্য যীশু খ্রিস্টের জন্মবার্ষিকীটি খ্রিস্টানরা বড়দিন হিসাবে পালন করে।

যেহেতু ২৫ সে ডিসেম্বর যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন, তাই এই দিনটি তাদের কাছে একটি বিশেষ দিন বা খুবই বড় দিন।

এই বিশেষ দিনে একজন মহান ব্যক্তির আবির্ভাবের কারনে এই দিনটিকে ‘বড়দিন‘ হিসাবে মানা হয়।

বড়দিন কেন পালন করা হয়?

এবার আমরা বড়দিন কেন পালন করা হয় এই গল্পটি জেনে নেব। এখান থেকে আপনি যিশু খ্রিস্টের জন্মের গল্পটিও জানতে পারবেন।

বড়দিন কেন পালন করা হয় – অনেক অনেক দিন আগে, নাজারেথ নামক একটি স্থান ছিল। এবং যেখানে মরিয়ম (মরিয়ম) নামক এক মহিলা বাস করতেন। মহিলাটি ইউসুফ নামে এক ব্যাক্তির প্রেমে পড়েছিলেন।

একদিন হঠাৎ করে ঈশ্বর ‘জিব্রাইল’ নামে একজন ফেরেশতাকে বার্তা দিয়ে মরিয়মের কাছে পাঠালেন। এবং তিনি তাকে বলেছিলেন যে ঈশ্বর মানুষকে সাহায্য করার জন্য পৃথিবীতে একটি পবিত্র আত্মা পাঠাচ্ছেন।

সেই আত্মা মরিয়মের পুত্র হিসাবে জন্মগ্রহণ করবে এবং তাকে যীশু নাম দেবে।

মেরি অবিবাহিত থাকা অবস্থায় এটা কিভাবে ঘটতে পারে, এটা শুনে চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরী তাকে বলল এটা হবে ঈশ্বরের কাছ থেকে একটা অলৌকিক ঘটনা, এটা নিয়ে বেশি ভাবার দরকার নেই।

তিনি আরও বলেছিলেন যে এলিজাবেথ নামে তার চাচাতো ভাই যার কোন সন্তান ছিল না সেও ‘জন দ্য ব্যাপটিস্ট’ নামে একটি সন্তানের জন্ম দেবে যে যীশুর জন্মের পথ প্রস্তুত করবে।

একথা শুনে মরিয়ম ঈশ্বরের ইচ্ছায় রাজি হলেন। তিনি এলিজাবেথের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তিন মাস পরে ফিরে এসেছিলেন। ততক্ষণে সে অন্তঃসত্ত্বা।

এতে জোসেফ চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং তিনি মেরিকে বিয়ে না করার কথা ভাবতে শুরু করেন।

কিন্তু একদিন রাতে ঘুমের মধ্যে, একজন দেবদূত জোসেফকে স্বপ্ন দেখা দিয়ে এবং তাকে ঈশ্বরের ইচ্ছার কথা বলেছিলেন।

ঈশ্বরের কথা অনুযায়ী, জোসেফ পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মেরিকে তার স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন।

বিয়ের পর, জোসেফ এবং মেরি বেথলেহেমে চলে যান। এবং সেখানে পৌঁছে তারা দেখতে পেল যে সেখানে প্রচুর ভিড় এবং তাদের থাকার জায়গা নেই।

এইজন্য তারা একটি পশুর শস্যাগারে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে, মরিয়ম ঈশ্বরের পুত্রের জন্ম দেন এবং তার নাম রাখেন যীশু

বড়দিন কী এবং বড়দিন কেন পালন করা হয়?

ঈশ্বর আকাশে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র দ্বারা যীশুর জন্ম নির্দেশ করেছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের জ্ঞানী-গুণীরা এই নক্ষত্রের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন।

তারা যীশুর জন্মস্থানে পৌঁছানোর জন্য সেই তারাটিকে অনুসরণ করেছিল। তারা শিশু এবং তার পিতামাতার জন্য উপহার নিয়ে আসে। বেথলেহেমের অন্যান্য অংশে, যেখানে রাখালরা তাদের পশু চরাতেন, ফেরেশতারা সেই সব জায়গায় গিয়ে তাদের সুসংবাদ দিতে লাগলেন।

তারা পৃথিবীতে পবিত্র আত্মাকে স্বাগত জানাতে গান গেয়েছিল এবং যীশুর জন্ম উপভোগ করেছিল।

সেই থেকে এই দিনটিকে বড়দিন হিসেবে পালন করা হয়।

লোকেরা মধ্যরাতে গির্জায় যায় যীশু খ্রিস্টের জন্ম উদযাপন করতে। তারা উপহার বিনিময় করে, ক্যারল গায়, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আনন্দের সাথে বড়দিন উদযাপন করে।

এই ছিল বড়দিনের গল্প, যেখান থেকে আপনি নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন কেন বড়দিন পালন করা হয়, বড়দিনের গুরুত্ব এবং যিশুর জন্মের গল্প।

২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিন কেন?

যেহেতু ২৫ সে ডিসেম্বর যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন, তাই এই দিনটি খ্রিস্টানদের কাছে একটি বিশেষ দিন বা খুবই বড় দিন।

২৫ শে ডিসেম্বর যিশুর মত, একজন মহান ব্যক্তির আবির্ভাবের কারনে এই দিনটিকে ‘বড়দিন’ হিসাবে মানা হয়।

বড়দিন কে ইংরেজিতে কী বলে?

বড়দিন কে ইংরেজিতে ‘Christmas’ বলা হয়।

উপসংহার

আশা করি উপরের ইনফরমেশন থেকে বড়দিন কী এবং বড়দিন কেন পালন করা হয়, বড়দিন কে ইংরেজিতে কী বলে, বড়দিন অনুচ্ছেদ রচনা – এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। যদি আর্টিকেলটা আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

আরও পড়ুন

Leave a Comment