ব্যাটারি কি – বর্তমানে সব জায়গায় কম বেশী ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। যে সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ প্রচলন আছে সেই সময় জায়গাতেও ব্যাটারি কাজে লাগে এবং যে সকল জায়গায় বিদ্যুতের প্রচলন নেই সেই সমস্ত জায়গায় ব্যাটারির মাধ্যমে বিদ্যুতের সরবরাহ করা হয়।
আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা ব্যাটারি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
যেখান থেকে আপনি ব্যাটারি কি, ব্যাটারি কাকে বলে, ব্যাটারি তৈরির উপাদান কি কি, ব্যাটারি কয় প্রকার এবং ব্যাটারি কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে জানতে পারবেন।
যদি আপনি এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
সূচিপত্র
ব্যাটারি কি?
যখন দুই বা ততোধিক ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল Cell একই শ্রেণীতে সংযুক্ত করা হয়ে , তখন একে ব্যাটারি বলা হয়।
একটি রাসায়নিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করে থাকে।
অনেকগুলি ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল Cell একসাথে যুক্তি করলে, এগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে কারেন্ট উৎপন্ন হয়।
ব্যাটারি কাকে বলে?
যে ইউনিট বা ডিভাইস রাসায়নিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে তাকে সেল (Cell) বলে।
আর একাধিক সেল মিলে যখন একটি ডিভাইস গঠন করে তখন তাকে ব্যাটারি বলে।
ব্যাটারি অনেক প্রকার রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। তবে এই পাঁচটি অংশ যেকোনো ব্যাটারির মধ্যে থাকতেই হবে।
এগুলি হলো –
- ধনাত্মক ইলেকট্রোড
- ঋণাত্মক ইলেকট্রোড
- ইলেকট্রোলাইট
- ডাই ইলেকট্রিক
- ডিপোলাইজার
ব্যাটারি কয় প্রকার ও কি কি?
ব্যাটারি সাধারণত দুই প্রকার। একটি হলো প্রাইমারি ব্যাটারি এবং অপরটি হল সেকেন্ডারি ব্যাটারি। নিচে এই দুই প্রকার ব্যাটারি সম্পর্কে জেনে নিন।
প্রাইমারি ব্যাটারি
যে ব্যাটারিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া শুধুমাত্র এক দিকে হয় অর্থাৎ এই ধরনের ব্যাটারিতে বিক্রিয়াটি একদিকে সরে গেলে বিদ্যুত উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
এই ব্যাটারিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পন্ন হলে সেগুলো অকেজো হয়ে যায়। এবং এই কারণে এই ধরনের ব্যাটারি চার্জ করা যায় না।
সেকেন্ডারি ব্যাটারি
এই ব্যাটারিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া উভয় দিকে যায়। এই কারণে, এই ব্যাটারিগুলিকে রি-চার্জ করে ব্যবহার করা পুনরায় যেতে পারে।
এই ব্যাটারিগুলি বারবার চার্জ করার মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। এই কারণে ব্যাটারি গুলি বেশিদিন ব্যাবহার হয়। প্রাইমারি ব্যাটারির তুলনায় এই ব্যাটারির দাম একটু বেশি।
ব্যাটারি তৈরির উপাদান
ব্যাটারির তিনটি মূল অংশ হলো ক্যাথোড, অ্যানোড ও ইলেকট্রোলাইট।
ক্যাথোড হিসেবে থাকে গ্রাফাইটের গুঁড়া ও পলিমার মিশ্রণ। এবং অ্যানোড হিসেবে থাকে অ্যালুমিনিয়াম।ইলেকট্রোলাইট আর মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া ও অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডের মিশ্রণ।
এগুলিই হলো ব্যাটারি তৈরির মূল উপাদান।
ব্যাটারি কিভাবে কাজ করে?
ব্যাটারি এমন একটি যন্ত্র যেখানে অনেক ভোল্টাইক Cell একই শ্রেণীতে বা সিরিজে সংযুক্ত থাকে।
প্রতিটি ভোল্টাইক কোষে দুটি অর্ধ-কোষ থাকে যাকে ইলেক্ট্রোড বলা হয়। একটি হলো ঋণাত্মক আয়ন এবং অপরটি ধনাত্মক আয়ন।
এগুলি ইলেক্ট্রোলাইটে উপস্থিত থেকে বিপরীত ইলেক্ট্রোডের গতি সৃষ্টি করে এবং এই কারণে, বৈদ্যুতিক প্রবাহ উৎপন্ন হয়।
ফলস্বরূপ Cell গুলিতে রেডক্স বিক্রিয়া ঘটে অর্থাৎ একটি ইলেক্ট্রোডে অক্সিডেশন ঘটে এবং অন্য ইলেক্ট্রোডে রিডাকশন বিক্রিয়া ঘটে। এই কারণেই cell গুলি রেডক্স বিক্রিয়ার সাহায্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ উৎপন্ন করতে পারে।
উপসংহার
আশাকরি উপরের ইনফর্মেশন থেকে ব্যাটারি কি বা কাকে বলে, ব্যাটারি কিভাবে কাজ করে, ব্যাটারি কয় প্রকার এবং ব্যাটারি তৈরির উপাদান কি কি এই সম্পর্কে বুঝতে আপনার অসুবিধা হয়নি। যদি এখনও এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আরও পড়ুন